পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা ‘উদযাপন’ করার দায়ে পাঁচবছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হল এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রকে। জঙ্গি হামলার পর ফেসবুকে অবমাননাকর বিষয় পোস্ট করায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এই সাজার ঘোষণা করে বেঙ্গালুরুর বিশেষ এনআইএ আদালত। আদালত বলে, ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে ব্যাহত করার অভিপ্রায়ে সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে সাজাপ্রাপ্ত পড়ুয়া। পড়ুয়ার এই কীর্তিকে ‘মহান জাতির বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে আখ্যা দেয় আদালত।
অতিরিক্ত সিটি সিভিল ও দায়রা বিচারক সিএম গঙ্গাধরার সভাপতিত্বে বিশেষ এনআইএ আদালত জানায়, পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনায় যে অভিযুক্ত পড়ুয়া উদযাপন করেছে, সেই সংক্রান্ত পর্যাপ্ত প্রমাণ জমা পড়েছে আদালতে। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সাজাপ্রাপ্ত পড়ুয়ার অবমাননাকর পোস্ট নিয়ে আদালত বলে, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি দু-একবার অবমাননাকর মন্তব্য করেননি। ফেসবুকে সব নিউজ চ্যানেলের সব পোস্টে তিনি এই ধরনের মন্তব্য করেন।’
আদালত বলে, ‘অভিযুক্ত কোনও অশিক্ষিত ব্যক্তি বা সাধারণ মানুষ না। অপরাধ সংঘটনের সময় সে একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ছিল। সে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পোস্ট ওই মন্তব্যগুলি করেছিল। মহান আত্মাদের হত্যায় সে খুশি হয়েছিল এবং মহান আত্মার মৃত্যু উদযাপন করেছিল। তার এই কাজ দেখে মনে হয় সে ভারতীয় না। তাই অভিযুক্তের এই কাজ আমাদের মহান জাতির বিরুদ্ধে সংঘটিত জঘন্য একটি অপরাধ।’
এই মামলায় অভিযুক্ত বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক একটি কলেজের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ফৈজ রশিদকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ, ২০১ এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭ বা ইউএপিএ-র ১৩ নং ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অভিযোগ ওঠে, পুলওয়ামা হামলার পর ফৈজ, নিউজ চ্যানেলের পোস্টে গিয়ে কমেন্ট করে লেখে – 'এক মুসলমান ৪০ পর ভারী পড় গয়া! কাশ্মীর কা হিরো আল্লাহ হু আকবর', 'ইয়ে তো মব লিঞ্চিং, রাম মন্দির, ২০০২-কা ছোট সা বদলা থা.. ট্রেলার সমঝনা কিউকি পিকচার অভি বাকি হ্যায় চু**', 'হাউ ইজ দ্য খফ ইন্ডিয়ান আর্মি??’, ‘গা* ফটি?’