যাত্রী এবং চালক - উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে উবের ইন্ডিয়া। মূলত মহিলা সওয়ারিদের সুরক্ষা আরও সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপসমূহ বলে জানা গিয়েছে।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, নয়া এই ব্যবস্থাপনাগুলির মধ্যে রয়েছে - অডিয়ো রেকর্ডিং, মহিলা চালকের জন্য বিশেষ বিকল্প, কাস্টমাইজ করা যায় - এমন কিছু সেফটি সেটিং এবং একটি এসওএস বাটন।
অডিয়ো রেকর্ডিং:
যদি চালক বা যাত্রী, দুই পক্ষের কোনও একজনই গাড়িতে সওয়ার থাকাকালীন অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে তাঁদের মধ্যে যে কেউ সেই পুরো সময়টা ধরে অডিয়ো রেকর্ডিং করতে পারেন।
এই অডিয়ো রেকর্ডিং সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং গোপন থাকবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না এই রেকর্ডিং 'সেফটি রিপোর্ট' হিসাবে সাবমিট করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত উবের কর্তৃপক্ষও তা শুনতে পারবে না।
এই ব্যবস্থাপনা ভারতের এক-পক্ষের সম্মতি আইন অনুসারে কার্যকর করা হয়েছে এবং তা দেশের সর্বত্রই ব্যবহার করা যাবে।
মহিলা চালকের জন্য বিশেষ বিকল্প:
এই পরিষেবা মূলত মহিলা চালকদের সুরক্ষার জন্য চালু করা হয়েছে। মহিলা চালকদের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই নয়া ব্যবস্থাপনা আনা হয়েছে। যেখানে মহিলা চালকরা কেবলমাত্র মহিলা যাত্রীদের অনুরোধই গ্রাহ্য করতে পারবেন। যাতে বিশেষ করে গভীর রাতে মহিলা চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
সংস্থার দাবি, তারা ইতিমধ্যেই এই নয়া ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ২১ হাজারেরও বেশি সফর সম্পূর্ণ করেছে। উবেরের বক্তব্য, তারা চায় আরও বেশি সংখ্যায় মহিলা চালকরা তাদের সঙ্গে কাজ করুন। কিন্তু, সেটা তখনই সম্ভব হবে, যখন মহিলারা যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে নিরাপদ বোধ করবেন। প্রসঙ্গত, বর্তমানে উবেরে মহিলা চালক রয়েছেন মাত্র ২ শতাংশ।
সেফটি প্রেফারেন্স:
'সেফটি প্রেফারেন্স' ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যাত্রীরা চাইলে প্রত্যেকটি সফরেই নিজেদের প্রয়োজন এবং সুবিধা মতো সেফটি সেটিংগুলি কাস্টমাইজড করতে পারবেন বা সাজিয়ে নিতে পারবেন।
যেমন - তাঁরা চাইলেই 'রাইডচেক' অপশনটি চালু করে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে কোনওরকম অনিয়ম হলেই তা ধরা পড়ে যাবে। যেমন - নির্ধারিত রুটের বদলে অন্য রাস্তায় গাড়ি চালানো, কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা ইত্যাদি। এছাড়া, এক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অডিয়ো রেকর্ডিং শুরু হয়ে যাবে এবং সেই সফরের যাবতীয় তথ্য বিশ্বস্ত নম্বরগুলিতে চলে যাবে।
এসওএস পরিষেবা:
এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চালক এবং যাত্রী - যে কেউই চাইলে কারেন্ট লোকেশন-সহ সফরের সম্পূর্ণ তথ্যবলী পুলিশের আপতকালীন বিভাগের কাছে পাঠাতে পারবেন এবং তাদের কাছে সরাসরি সাহায্য চাইতে পারবেন।
সংস্থার দাবি, ইতিমধ্যেই তেলঙ্গনায় এই পরিষেবা চালু আছে। এবার উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রেও তা চালু করা হবে।