শিশির গুপ্ত
উদয়পুরের শিরোচ্ছেদকাণ্ড ঘিরে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের করাচির দাওয়াত-এ- ইসলামি গোষ্ঠীর সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডে দুই অভিযুক্তের যোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, আগেই এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে অভিযুক্তদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগের তথ্য উঠে আসে। এবার তদন্ত এগোতেই উঠে আসছে একাধিক তথ্য।
উদয়পুরের কানহাইয়ালালের শিরোচ্ছেদকাণ্ড প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়েছে এলাকায়। নুপূর শর্মার সমর্থনে পয়গম্বর বিতর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকদিন আগে একটি পোস্ট করেন কানহাইয়া। আর তারপরই কানহাইয়াকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। শিরোচ্ছেদের ঘটনায় অভিযুক্ত ঘউস মহম্মদ ও রিয়াজ আনসারি বহুবারই বিদেশ সফরে গিয়েছেন বলে দেখা গিয়েছে। তথ্য বলছে, ২০১৪ সালে তাদের দাওয়াত-এ-ইসলামির তরফে ডেকে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের দাওয়াত-এ-ইসলামির উদ্দেশ্য হল বিশ্ব জুড়ে শরিয়া ভাবনাকে ছড়িয়ে দেওয়া। সেখানে পবিত্র কোরান ও সুন্নাহের শিক্ষা দেওয়া হয়। পাকিস্তান সহ বিভিন্ন ইসলাম ধর্মাবলম্বী অধ্যুশিত দেশে এই সংগঠনের বহু অনুগামী রয়েছেন।
তদন্তের তথ্য বলছে, কানহাইয়ার হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত ঘউস মহম্মদ ৪০ দিন করাচিতে ছিল। এছাড়াও ২০১৩ ও ২০১৯ সালে সে সৌদি আরবের উমরাহতেও ছিল। এছাড়াও তারা সৌদিআরবেও গিয়েছিল। জানা গিয়েছে ঘউস মহম্মদ করাচিতে বেশ কয়েকদিন প্রশিক্ষণ পেয়েছে। অন্যদিকে, রিয়াজ আট্টারি দাওয়ত-এ-ইসলামির আট্টার কাদরির ভক্ত। এরা দুজনেই বিজেপি নেতাদের ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিল। তারা বিজেপির ‘মুসলিম রাষ্ট্রিয় মঞ্চ’ এর সদস্য বলেও জানা গিয়েছে। এছাড়াও বিজেপির সংখ্য়ালঘু সেলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে এরা।
তদন্তে বলা হচ্ছে, বিজেপির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রেইকি করে বেড়াত আট্টারি। কোথায় পার্টি অফিস রয়েছে, কোথায় কোন প্রতিষ্ঠান রয়েছে সমস্ত খোঁজ রাখত সে। যদিও কংগ্রেসের দাবি এই হত্যাকারীদের সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি সেই দাবি খারিজ করেছে।
জানা গিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের সময় রিয়াজ তার বিজেপি যোগ নিয়ে একটিও শব্দ উচ্চারণ করেনি। এই মুহূর্তে দুই অভিযুক্তকে এনআইএর হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সূত্রের দাবি, দুই অভিযুক্তের কেউই বিজেপি নেতাদের টার্গেটের ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে মুখ খোলেনি।