নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ফরোয়ার্ড আট বছরের ছেলের। সেই ঘটনায় চরম পরিণতি হয়েছে উদয়পুরের কানহাইয়ালালের। দুষ্কৃতীরা কানহাইয়ার গলা কেটে দেয়। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে দুই অভিযুক্ত। উদয়পুরে আইসিস জঙ্গিদের মতো ধারালো অস্ত্র দিয়ে কানাহাইয়ালারের মুণ্ডচ্ছেদ করে দুই ব্যক্তি। অভিযুক্তদের একজন হলেন গউস মহম্মদ। এই গউস মহম্মদের সঙ্গে নাকি রয়েছে পাকিস্তানি যোগ। এমনটাই জানালেন রাজস্থানের ডিজিপি এমএল লাথার।
রাজস্থান পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, গউস মহম্মদ ২০১৪ সালে পাকিস্তান গিয়েছিল। সেখানে সুন্নিদের সংগঠন দাওয়াত-ই-ইসলামির সঙ্গে তার যোগ রয়েছে। এই সুন্নি সংগঠনের মুম্বই ও দিল্লিতেও অফিস রয়েছে বলে জানান ডিজিপি। এদিকে ঘটনায় দুই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাদের তিন সাঙ্গপাঙ্গকেও আটক করা হয়েছে বলে জানান ডিজিপি। ডিজিপি জানান, খুনে ব্যবহৃত চাকুটি মহম্মদ রিয়াজ চার-পাঁচ বছর আগে বানিয়েছিল। ঘটনায় ইউএপিএ ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। মামলাটি এনআইএ-র কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে বেল জানান ডিজিপি।
পয়গম্বর নিয়ে মন্তব্য বিতর্কে নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করেছিলেন রাজস্থানের উদয়পুরের কানাহাইয়া লাল (পরিবারের দাবি ভুল করে পোস্ট হয়েছিল)। তা নিয়ে গত ১৭ জুন কানাহাইয়া লালকে খুনের হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ করে এক অভিযুক্ত রিয়াজ আটারি। সেই ভিডিয়োটি ফেসবুক এবং উদয়পুরের বিভিন্ন হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কানাহাইয়া লাল। পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। হুমকি পাওয়ার পর ছয়দিন দোকানও খোলেননি। মঙ্গলবারই প্রথম দোকান খুলেছিলেন। সেদিনই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ।
কাপড় তৈরির বাহানায় মঙ্গলবার দুপুরে কানাহাইয়া লালের দোকানে আসে রিয়াজ এবং ঘাউস মহম্মদ। একজন ভিডিয়ো করছিল। অপরজনের পোশাকের মাপ নিচ্ছিলেন কানাহাইয়া লাল। তারপরই কানাহাইয়া লালের উপর হামলা চালায় কট্টরপন্থীরা। চিৎকার করে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কানাহাইয়া লাল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কানাহাইয়া লালের গলা কেটে দেয় কট্টরবাদীরা।