দল হাতছাড়া হয়েছে, নির্বাচনী প্রতীক 'তির-ধনুক' গিয়েছে। এই আবহে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন উদ্ধব ঠাকরে। 'তির-ধনুক' প্রতীক ফিরে পেতে শীর্ষ আদালতে মামলার আবেদন করে তা জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করার জন্য বলেছিলেন উদ্ধবের আইনজীবী। তবে উদ্ধব পক্ষের জরুরি শুনানির আবেদন খারিজ করে দিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, 'সরি, আপনাকে মেনশনিং লিস্টে (আজকে যে যে মামলা উত্থাপিত হবে, তার তালিকা) থাকতে হবে। আপনারা কালকে আসুন।' (আরও পড়ুন: মেঘালয়ে পিএ সাংমা স্টেডিয়ামে সভা করতে চাইলেন মোদী, মানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড)
উল্লেখ্য, এই ইস্যুতে আগেও শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল উদ্ধব শিবির। তখন নির্বাচন কমিশনকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে গত শুক্রবার শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশম জানিয়ে দিল, দল ও প্রতীক দুটোই একনাথ শিবিরের। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উদ্ধব শিবির। তবে তাদের মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করতে অস্বীকার করল সর্বোচ্চ আদালত।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার নির্বাচন কমিশন শিবসেনা বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বড় ধাক্কা দেয় উদ্ধব শিবিরকে। এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে কমিশন বলে, একনাথ শিণ্ডের গোষ্ঠীই হল বালাসাহেবের তৈরি 'আসল' শিবসেনার নেতা। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে শিবসেনার বর্তমান সংবিধান অগণতান্ত্রিক। কোনও নির্বাচন ছাড়াই অগণতান্ত্রিকভাবে একটি গোষ্ঠীর লোকদের পদাধিকার বলে নিয়োগ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দলের দখল রাখতে নিজের আস্থাভাজনদের নেতা পদে নিয়োগ করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তবে নির্বাচন কমিশন সেই নিয়োগকে বেআইনি আখ্যা দেয়। এই আবহে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের জেরে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের সন্তান উদ্ধব ঠাকরেই পার্টি থেকে বেরিয়ে যেতে হচ্ছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০১৮ সালে শিবসেনার সংশোধিত সংবিধান কমিশনে জমা দেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, এর আগে কমিশনের চাপে পড়ে ১৯৯৯ সালে প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরে তাঁর দলের সংগঠনে সংশোধনী এনেছিলেন। ২০১৮ সালের সংবিধানে সেই সব সংশোধনী বাতিল করা হয়েছিল। এই আবহে কমিশনের পর্যবেক্ষণ, শিবসেনার বর্তমান সংবিধান অগণতান্ত্রিক। ১৯৯৯ সালে এই সব নিয়ম কমিশন গৃহণ করেনি। গোপন পদ্ধতিতে তা ফিরিয়ে আনা হয় ২০১৮ সালে। এখন নির্বাচন কমিশনের এই সব যুক্তির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে দ্বারস্থ উদ্ধবপন্থীরা।