মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে 'ঔরঙ্গজেব ফ্যান ক্লাব'-এর নেতা বলে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
'এই ঔরঙ্গজেব ফ্যান ক্লাব দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না। কারা এই ঔরঙ্গজেব ফ্যান ক্লাব? এটি (মহাবিকাশ) আঘাদি এবং উদ্ধব ঠাকরে ঔরঙ্গজেব ফ্যান ক্লাবের নেতা। উদ্ধব ঠাকরে, যিনি নিজেকে বালাসাহেবের উত্তরাধিকারী বলে দাবি করেন, আপনি তাদের সঙ্গে বসে আছেন যারা কাসাবকে বিরিয়ানি খাইয়েছিলেন।'
তিনি বলেন, যারা পিএফআইকে সমর্থন করে, তাদের কোলে বসে আছেন উদ্ধব ঠাকরে। যাঁরা ইয়াকুব মেমনকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন, আপনি তাঁদের সঙ্গে বসে আছেন। উদ্ধবজি, যাঁরা জাকির নায়েককে 'শান্তির দূত' বলে অভিহিত করেছেন, আপনি তাঁদের কোলে বসে আছেন।
ঔরঙ্গজেব ফ্যান ক্লাব কি দেশকে সুরক্ষিত করতে পারবে? একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টিই দেশকে নিরাপদ রাখতে পারে। একমাত্র বিজেপিই পারে মহারাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে।
এই প্রথম নয়, এর আগেও শিবসেনা প্রধানকে প্রকাশ্যে আক্রমণ করলেন অমিত শাহ। লোকসভা ভোটের সময় উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে আদর্শ ছেড়ে ক্ষমতায় আসার অভিযোগ তোলেন তিনি।
কংগ্রেস নেতারা সন্ত্রাসবাদী কাসভকে সমর্থন করছেন। আমি উদ্ধব ঠাকরের কাছে জানতে চাই, উনি কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে এক মত কিনা।
সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি মারাত্মক ধাক্কা খাওয়ার পরে এটি অমিত শাহের প্রথম মহারাষ্ট্র সফর, যেখানে দলটির আসন সংখ্যা ২০১৯ সালে জেতা ২৩ টি আসন থেকে ৯ এ নেমে এসেছে।
'দুর্নীতির সবচেয়ে বড় কিংপিন শরদ পাওয়ার', বললেন অমিত শাহ
তাঁর ভাষণে এনসিপি (এসপি) প্রধান শরদ পাওয়ারকে কটাক্ষ করে দেশে দুর্নীতিকে 'প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ' করার অভিযোগ তুলেছেন অমিত শাহ। ভারতীয় রাজনীতিতে দুর্নীতির সবচেয়ে বড় চক্রী যদি বলে থাকেন, তিনি হলেন শরদ পাওয়ার। এ নিয়ে আমার মনে কোনো বিভ্রান্তি নেই। আমি খোলাখুলিভাবে বলছি, পওয়ার দেশে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন।
অমিত শাহ বলেন, মহারাষ্ট্র (দেবেন্দ্র ফড়নবিশের অধীনে) ক্ষমতায় থাকাকালীন বিজেপি মারাঠাদের জন্য সংরক্ষণ বরাদ্দ করেছিল, আর যখনই শরদ পাওয়ারের সরকার ক্ষমতায় আসে, মারাঠা কোটা উধাও হয়ে যায়।