নিজের ‘দলের’ কাছেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। এককালে যে একনাথ শিন্ডে ঠাকরে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন, সেই একনাথের ‘বিদ্রোহেই’ গদিচ্যুত হয়েছেন উদ্ধব। উদ্ধবের পদত্যাগের একদিন যেতে না যেতেই সেই পদে শপথগ্রহণ করেন একনাথ শিন্ডে। আর শিন্ডের শপথগ্রহণের পর এই প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের উদ্ধবের গলায় ‘আড়াই বছরের ফর্মুলা।’ এদিন উদ্ধব দাবি করেন, ‘অমিত শাহ যদি নিজের কথা রাখতেন তাহলে আজকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির নেতা হতেন।’
উদ্ধব এদিন বলেন, ‘বিজেপি তথা কথিত এক শিবসৈনিককে মুখ্যমন্ত্রী করেছে। ক্ষমতার জন্য বিজেপি আমার পিঠে ছুরি মেরেছে। আমি আগেও অমিত শাহকে বলেছিলাম যে ২.৫ বছরের জন্য শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী থাকা উচিত (শিবসেনা-বিজেপি জোটের সময়)। তাঁরা আগে এটা করলে মহা বিকাশ আঘাড়ির অস্তিত্ব থাকত না।’ প্রসঙ্গত, এই ‘আড়াই বছরের ফর্মুলা’তে অনড় থেকেই শিবসেনা ২০১৯ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে দেয়। বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পর উদ্ধব বিপরীত নীতির কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাতে শুরু করেন।
এদিকে একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মেট্রো কার শেড ইস্যুতে উদ্ধবের সিদ্ধান্তকে পালটে দেন। এর প্রেক্ষিতে উদ্ধব এদিন বলেন, ‘মুম্বইকরদের উপর আমার রাগ প্রকাশ করবেন না। মেট্রো শেডের প্রস্তাব পরিবর্তন করবেন না। মুম্বইয়ের পরিবেশের সঙ্গে খেলবেন না। মেট্রো কারশেড প্রকল্পটি কাঞ্জুরমার্গে হোক, আরেতে নয়। কাঞ্জুরমার্গ কোনও ব্যক্তিগত প্লট নয়। আমি পরিবেশবাদীদের সমর্থন করছি এই ইস্যুতে। আরেকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করেছি। ওই বনে বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব রয়েছে।’ এর আগে ২০১৯ সালে দেবেন্দ্র ফড়ণবীস সরকারের অধীনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে মুম্বইয়ের মেট্রো কার শেড আরেতে হবে।