শিবসেনার অভ্যন্তরে বিদ্রোহের পর দু’বার পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তবে তাঁর জোটসঙ্গী নেতারা তাঁকে পদত্যাগ করা থেকে বিরত রাখেন বলে সূত্রের দাবি। এদিকে কোন নেতা উদ্ধবকে আটকেছেন, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি বা জানা যায়নি। তবে এই সংকটের সময়ে একাধিকবার উদ্ধবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শরদ পাওয়ার। বর্ষীয়ান এই নেতাই মহাবিকাশ অঘাড়ি জোটের মূল ঘটকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার শিবসেনার ২১ বিধায়ক সুরাটে যাওয়ার পরই পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করেছিলেন উদ্ধব। সেদিন বিকেল পাঁচটার সময় ফেসবুক লাইভ করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানানোর কথা ছিল উদ্ধবের। সূত্রের কথায়, ‘মহা বিকাশ অঘাড়ি জোটের সবচেয়ে বড় নেতা তাঁকে পদত্যাগ না করতে রাজি করান।’ এরপর দিন উদ্ধব ফের একবার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বিদায় জানানোর জন্য সরকারি একটি বৈঠকও ডেকেছিলেন। তবে আবারও সেই শীর্ষ নেতা নাকি উদ্ধবকে পদে থাকতে রাজি করান। সেদিন বিকেল ৪টের সময় উদ্ধবের একটি ফেসবুক লাইভ করার কথা ছিল। তবে তা প্রায় আধ ঘণ্টা বিলম্বিত হয়। কারণ তখন সেই ‘শীর্ষ নেতা’ উদ্ধবকে ‘বোঝাচ্ছিলেন’।
সূত্রের দাবি, সেই ‘শীর্ষ নেতা’ উদ্ধবকে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বলেন এবং হাল ছাড়তে বারণ করেন। ফেসবুক লাইভে পদত্যাগের ঘোষণা না করলেও উদ্ধব বলেন তিনি তাঁর পদত্যাগ পত্র নিয়ে তৈরি আছেন। পরে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসস্থান ‘বর্ষা বাংলো’ থেকে নিজের বাড়ি মাতুশ্রীতে চলে যান উদ্ধব। এদিকে পরপর আবেগের ‘কার্ড’ খেললেও উদ্ধবের কথায় মন গলেনি একনাথদের। বরং উদ্ধবের গোষ্ঠী ক্রমেই আরও ছোট হচ্ছে। এদিকে শক্তি বাড়ছে একনাথদের।