Compensation for Flight Delay: উড়ানে দেরি ও ফ্লাইট মিস, কত টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন প্রবীণ দম্পতি?

ভুক্তভোগী প্রবীণ দম্পতি গত ৭ মার্চ আইনজীবী মারফত নিজেদের অভিযোগ জমা করেন। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত বিমা সংস্থাকে দোষী সাব্যস্ত করে উদুপি জেলার ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন।

এক প্রবীণ দম্পতির করা অভিযোগের ভিত্তিতে একটি বিমা সংস্থাকে দোষী সাব্যস্ত করল কর্ণাটকের উদুপির জেলা ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন। ২০১৯ সালের ক্রেতা সুরক্ষা আইনের অধীনে ওই বিমা সংস্থাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এবং এর জন্য অভিযোগকারী দম্পতিকে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

অভিযোগকারীরা হলেন - লিটল রক ইন্ডিয়ান স্কুলের অধ্যাপক ম্যাথিউ সি নিনান এবং তাঁর স্ত্রী লালি আব্রাহাম।

তাঁরা তাঁদের অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে তাঁরা ইউকে গিয়েছিলেন ব্যক্তিগত কারণে। অভিযোগ, সেখান থেকে ফেরার পথে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয় ওই দম্পতির।

তাঁদের দুই দফায় বিমান ধরার কথা ছিল। প্রথমে হিথরো থেকে আন্তর্জাতিক রুটের বিমান ধরে বেঙ্গালুরু পৌঁছানোর কথা ছিল। তারপর সেখান থেকে অন্য একটি বিমানে ম্যাঙ্গালুরু পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

কিন্তু, সফরের দিন হিথরো বিমানবন্দর থেকে সংশ্লিষ্ট উড়ানটি যাত্রা শুরু করে দেরি করে। ফলত, সেই বিমান অনেকটাই দেরিতে বেঙ্গালুরু পৌঁছয়। যার জেরে ওই দম্পতি বেঙ্গালুরু থেকে তাঁদের নির্ধারিত বিমান ধরতেই পারেননি।

এমনকী, এই পুরো ঘটনাক্রমের জেরে প্রবীণ দম্পতিকে প্রথমে হিথরো বিমানবন্দরে ১০ ঘণ্টা এবং পরবর্তীতে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ৭ ঘণ্টা বসে থাকতে হয়!

ওই প্রবীণ দম্পতি যে পর্যটন সংস্থার মাধ্যমে যাতায়াত করেছিলেন, তাদের তরফে ভুক্তভোগীদের জন্য এক পর্যটন বিমা কিনে দেওয়া হয়েছিল।

সেই বিমার ক্লেম জমা দেওয়া হয় ২০২৩ সালের ২৭ এপ্রিল। কিন্তু, সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থা তাতে কোনও সাড়া দেয়নি বলে অভিযোগ। এমনকী, তাদের একের পর এক চিঠি ও ইমেল পাঠিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

শেষে ওই দম্পতি উদুপির একটি এনজিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি জেলার ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেয়।

তার ভিত্তিতে ওই প্রবীণ দম্পতি গত ৭ মার্চ আইনজীবী মারফত নিজেদের অভিযোগ জমা করেন। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে ওই বিমা সংস্থাকে দোষী সাব্যস্ত করে কমিশন।

ওই বিমা সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয় - অবিলম্বের ভুক্তভোগী দম্পতিকে মূল ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৮,০০০ টাকা দিতে হবে। তাঁদের কানেক্টিং ফ্লাইট মিস হওয়ার জন্য আরও ১৬,০০০ টাকা দিতে হবে। যত দিন না এই টাকা আবেদনকারীরা হাতে পাচ্ছেন, তত দিন ঘোষিত ক্ষতিপূরণের অর্থমূল্যের উপর বার্ষিক ৮ শতাংশের হিসাবে সুদ ধার্য করা হবে এবং সেই সুদের টাকাও দম্পতিকে দিতে হবে।

এরই সঙ্গে, ওই দম্পতিকে মামলার খরচ বাবদ আরও ৫,০০০ টাকা এবং মামলাকারীদের মানসিক উদ্বেগের জন্য অতিরিক্ত ৫,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অর্থাৎ - সব মিলিয়ে ন্যূনতম ৭৪,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন ভুক্তভোগীরা।