বিতর্কিত অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারিকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে অনুমতি দিল মার্কিন আদালত। অভিযোগ ইউপিএ জমানায় প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে চুক্তির জন্য ৪০০ কোটি টাকা বিদেশি সংস্থার কাছে পেয়েছিলেন সঞ্জয়। তিনি বিদেশে গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
এবার ওই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে ভারতে ফেরৎ আনা যাবে। দুবাইতে একাধিক সংস্থার সঙ্গে অবৈধ লেনদেন হয়েছিল বলে অভিযোগ।লন্ডনে ওয়েস্ট মিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই বিচারপ্রক্রিয়া চলেছে।
সঞ্জয় ভাণ্ডারি তার বৈদেশিক সম্পদের উৎস সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি। ভারত সরকার ওই অস্ত্র ব্যবসায়ীর প্রত্যর্পণের ব্যাপারে আবেদন করেছিল। আর্থিক প্রতারণাতেও তিনি অভিযুক্ত। সিবিআই ও ইডির তরফে আর্থিক প্রতারণার মামলাও করা হয় সঞ্জয় ভান্ডারির বিরুদ্ধে। এদিকে তিনি ইংল্য়ান্ডে ছিলেন। তবে তাকে পলাতক বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর ব্রিটিশ সরকারের কাছে সঞ্জয়কে প্রত্যর্পণের আবেদন করা হয়।
২০২০ সালের ১৬ জুন ব্রিটিশ হোম মিনিস্টার প্রীতি প্যাটেল ভারতের তরফে যে অনুরোধ করা হয়েছিল তা মেনে নেন। এরপর ২০২০ সালে ১৫ জুলাই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১.২ মিলিয়ন জমা দিয়ে, পাসপোর্ট জমা রেখে তিনি জামিন পেয়েছিলেন। সেন্ট্রাল লন্ডনে তিনি হাউজ অ্যারেস্ট অবস্থায় রয়েছেন। রোজ থানায় দেখা করেন তিনি।
এদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট ভদ্রের সঙ্গে সঞ্জয়ের ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে অভিযোগ। লন্ডনে একেবারে সস্তায় সঞ্জয়ের কাছ থেকে রবার্ট ভদ্র বাংলো কিনেছিলেন বলেও দাবি করা হয়। তবে রবার্ট অবশ্য় ব্যবসায়ীক সম্পর্কের এই দাবি মানেননি।