সপরিবারে ভারত ভ্রমণে এসেছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তাজমহল পরিদর্শনের পর রবিবার পরিবারের সঙ্গে উত্তর প্রদেশের আগ্রায় অবস্থিত ফতেহপুর সিক্রি স্মৃতিস্তম্ভ ঘুরে দেখলেন তিনি। এদিন সুনাকের সঙ্গে ফতেহপুর সিক্রি পরিদর্শন করেন তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি, শাশুড়ি সুধা মূর্তি এবং তাঁর মেয়ে কৃষ্ণা ও অনুষ্কা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভ্রমণকে ঘিরে এদিন সেখানে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: নমস্কার করো! ঋষি সুনাককে মনে করালেন কাকিমা শাশুড়ি, দেখুন জয়পুরের ভিডিয়ো
এর আগের দিন সুনাক সপরিবারে তাজমহল পরিদর্শন করেন। তাজমহল ঘোরার সময় প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর স্ত্রী ভিজিটরস বুকে স্বাক্ষর করেন। তাজমহল ঘোরার পর ঋষি বলেন, ‘সত্যিই অসাধারণ ভ্রমণ ছিল। তাজমহলের মতো এরকম স্থান পৃথিবীতে খুব কমই হতে পারে। আমাদের সন্তানরা এটি দেখার অভিজ্ঞতা কখনও ভুলবে না। উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের পুরো পরিবারের জন্য একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা ছিল।’ তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিও এই অভিজ্ঞতার জন্য খুবই আনন্দিত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যুগ যুগের স্মৃতি।’

এদিন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে এক ঝলক দেখার জন্য প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে অনেককেই ‘রাধে রাধে’ বা ‘নমস্তে’ বলতে শোনা যায়। তার উত্তরে উষ্ণভাবে হাত নাড়িয়ে এবং হাত জোর করে সেখানে উপস্থিত মানুষদের অভ্যর্থনা জানান ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, এর আগে ঋষি সুনাক গত ২ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন। জয়ের জন্য টিম ইন্ডিয়াকে অভিনন্দন জানান তিনি। এছাড়া, আগের দিনই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সুনাক টেনিস বল ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। পরে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘টেনিস বলের ক্রিকেট খেলা ছাড়া মুম্বইয়ের কোনও ভ্রমণই সম্পূর্ণ হবে না।’ এছাড়া, গত ১ ফেব্রুয়ারি ঋষি সুনক স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি এবং শ্বশুর শাশুড়ির সঙ্গে জয়পুর সাহিত্য উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ঋষি সুনক ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত দেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোষাগারের মুখ্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।