বুধবার ফের একবার লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল খালিস্তানপন্থীরা। তবে রবিবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল না বুধে। উল্লেখ্য, বুধবারই দিল্লিতে ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই আবার লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। বসানো হয় ব্যারিকেড। এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুললেন ব্রিটিশ বিদেশ সচিব জেমস ক্লেভার্লি। জেমস বলেন, যেভাবে লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মী ও আধিকারিকদের উপর হিংসাত্মক হামলা চালানো হয়েছে, তা কোনও মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এদিকে তিনি জানান, ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে লন্ডন পুলিশ। পাশাপাশি তিনি জানান, ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের কার্যালয় এবং দিল্লিতে ভারত সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতার ধরনায় যোগ দিতে রাজি ডিএ আন্দোলনকারীরা! তবে রয়েছে শর্ত)
এদিকে ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের অফিসের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, 'ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তাব্যবস্থার পুনর্মূল্যায়ন করতে আমরা লন্ডন পুলিশের সঙ্গে কাজ করছি। লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মী ও আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা পরিবর্তন করা দরকার, সেগুলি আমরা করব। বুধবারের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন তেমনটাই করা হয়েছিল।' প্রসঙ্গত, গতকাল প্রায় ২০০০ খালিস্তানপন্থী বিক্ষোভ দেখায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে। তবে তেরঙ্গা টাঙিয়ে তাদের যোগ্য জবাব দেন ভারতীয় কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের 'নৈতিক জয়' আদালতে, বড় নির্দেশ হাই কোর্টের
উল্লেখ্য, অমৃতপাল সিং কাণ্ডে এর আগেও ভারতীয় হাইকমিশনের ওপর হামলা হয়েছিল লন্ডনে। হাইকমিশনের সামনে উড়তে থাকা ভারতীয় পতাকা টেনে নামানোর চেষ্টা করেছিল এক খালিস্তানপন্থী। হামলার প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে পদক্ষেপের আশা করেছিল ভারত। তবে এই বিষয়ে উদাসীন দেখায় ব্রিটিশ সরকারকে। কূটনৈতিক পথে সেই উদাসীনতার জবাব দেওয়া হয়েছিল গতকালই। এরপরই টনক নড়ে ব্রিটিশ সরকারের। এরপরই লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে বুধবার দিল্লিতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিসের বাসভবনের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরানো হয়। পাশাপাশি শান্তিপথে ইউনাইটেড কিংডমের হাইকমিমিশনের বাইরে থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ব্যারিকেড। তবে, হাইকমিশনে নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মীদের সংখ্যা কমানো হয়নি বলে জানা যায়। কিন্তু ভারত এভাবে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়ায় টনক নড়ে লন্ডনের। সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়।