বাংলাদেশ পরিস্থিতি এবার নাগরিকদের ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্কতা জারি করল ব্রিটেন। সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করে বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটেন সরকার নাগরিকদের সতর্ক করেছে। ব্রিটেনের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) মঙ্গলবার ভ্রমণ সংক্রান্ত এই পরামর্শ জারি করেছে। তাতে জনবহুল জায়গা, ধর্মীয় ভবন এবং রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে নাগরিকদের দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যারা ভারতের পতাকায় পা দিয়েছে…. বাংলাদেশকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী
এফসিডিওর তরফে বলা হয়েছে, ইসলামের বিরোধী মনে করে কিছু গোষ্ঠী বেশ কিছু সম্প্রদায়ের মানুষকে টার্গেট করছে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে হামলা হয়েছে এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলিতে আইইডি হামলার কথাও বলা হয়েছে। পরামর্শে নাগরিকদের আরও বলা হয়েছে, আশেপাশের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। বড় বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে হবে।
এফসিডিও পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ নির্দিষ্ট অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। এর আগে, সোমবার ব্রিটেনের হাউস অফ কমন্সের অধিবেশনে বিদেশ দফতরের মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর সাম্প্রতিক হামলা এবং ধর্মীয় নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরেই এমন পরমার্শ জারি করল এফসিডিও। উল্লেখ্য, গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। সেই সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার শুরু হয়েছিল। তবে সম্প্রতি ইসকনের প্রাক্তন সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারের পর থেকেই আবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস ৮ অগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা গ্রহণ করা সত্ত্বেও হিংসা অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের নিন্দা জানিয়েছেন ভারতীয়রা। এদিকে, ভারত সরকার বারবার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেছে। তবে বাংলাদেশ দাবি করছে, সংখ্যালঘুরা নিরাপদেই রয়েছে। এই আবহে এবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরমার্শ জারি করল ব্রিটেন।