ব্যাঙ্ক প্রতারণাকাণ্ডে অভিযুক্ত ফেরার ভারতীয় শিল্পপতি বিজয় মালিয়াকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে অন্তরায় ‘গোপনীয়’ আইনি জটিলতার অবসান করতে উদ্যোগী হয়েছে ব্রিটেন। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন ভারতে ব্রিটেনের হাই কমিশনার জ্যান থম্পসন।
ব্রিটিশ হাই কোর্ট ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টে মালিয়ার আবেদন করার আর্জি নাকচ করার পরে গত মে মাসে তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বাধ সাধে এই ‘গোপনীয়’ আইনি জটিলতা।
ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে থম্পসন বলেন, মালিয়াকে প্রত্যর্পণের সঠিক দিনক্ষণ তাঁর পক্ষে জানানো অসম্ভব। তাঁর দাবি, প্রত্যর্পণের নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
হাই কমিশনারের মতে, ‘ওই বিশেষ আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হলে প্রত্যর্পণ করাল সম্ভব নয়। বিষটি গোপনীয় এবং এর বেশি কিছু বলতে পারব না। শুধুতাই নয়, এর জন্য কত সময় লাগবে, তা-ও আমার পক্ষে বলা অসম্ভব। এটুকু বলতে পারি, বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা মিটিয়ে ফেলতে চাইছি।’
ভারত এর আগেই জানিয়ে দিয়েছে, মালিয়াকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে ব্রিটেনের ‘গোপনীয় আইনি প্রক্রিয়ায়’ তারা আগ্রগহী নয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব গত অক্টোবর মাসের সাংবাদিক বৈঠকে মালিয়ার প্রত্যর্পণের বিষয়ে গোপনীয় আইনি সমস্যার উল্লেখ করেছিলেন। তবে তাতে যে ভারত যুক্ত নয়, সে কথাও তিনি জানান।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বিজয় মালিয়াকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয় ব্রিটেনের ম্যাজিস্ট্রেট’স কোর্ট। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে মালিয়ার আবেদন গত ২০ এপ্রিস ব্রিটিশ হাই কোর্ট খারিজ করে। এরপর ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে চেয়ে হাই কোর্টে আর্জি জানান ফেরার শিল্পপতি। সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে গত ১৪ মে। ফলে প্রাক্তন লিকার ডনের হাতে বর্তমানে কোনও আইনি তাসই অবশিষ্ট নেই।
মোট ৯,০০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগের মুখে পড়ে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ভারত ছেড়ে ব্রিটেনে উড়ে গিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। তার জেরে তাঁকে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপকারী ঘোষণা করে ভারতের আদালত।