২০২১ সালে আরও গভীর ও মজবুত হোক ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনায় এই আবেদন জানালেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
ডাউনিং স্ট্রিট সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুই মুখ্যমন্ত্রীর ফোনালাপে গুরুত্ব পেয়েছে বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রতিরক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্র-সহ ভারত ও ব্রিটেনের যুগ্ম পদক্ষেপের নানান বিষয়। বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রতিষেধক ভ্যাক্সিন উৎপাদনে দুই দেশের অগ্রণী বিজ্ঞানীদের যৌথ প্রয়াসের বিষয়টি।
২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়তে চলেছে ব্রিটেন। সেই কারণে নতুন সম্পর্ক তৈরি করতে এবং পুরনো সম্পর্ক আরও মজবুত করায় মনোযোগী হয়েছে বরিস জনসনের সরকার। বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে ভারতের সঙ্গে শুল্কহীন বাণিজ্যিক চুক্তি সই করার উপরে। এই বিষয়ে এর আগেও উল্লেখ করেছেন জনসন ও তাঁর অনুগামীরা।
জানা গিয়েছে, বৈঠকে মোদীর কাছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
আলোচনায় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল আরও উন্মুক্ত করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন জনসন। এই বিষয়ে ব্রিটেনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মেনে আগামী বছর ওই অঞ্চলে যুদ্ধবিমানবাহী ব্রিটিশ রণতরী বাহিনী এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ পাঠানোর কথাও দিয়েছেন জনসন। আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালের গোড়ায় প্রকাশিত ব্রিটিশ বিদেশ নীতিতে ঠাঁই পেতে চলেছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে তাঁর ভাষণে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পরিবর্তন আনার বিষয়ে নতুন আশার কথা শোনান নরেন্দ্র মোদী। চলতি মাসে লন্ডনে তারই পুনরাবৃত্তি করেন বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।