মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ইহুদিদের উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুই কিশোরকে গ্রেফতার কল ব্রিটিশ পুলিশ। এর আগে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত পাক স্নায়ুবিজ্ঞানীর মুক্তির দাবিতে হামলা চালানো ব্যক্তিও ব্রিটিশ বলে জানায় মার্কিন প্রশাসন। ১০ ঘণ্টা ধরে ৪ ইহুদিকে আটক রাখার পর মৃত্যু হয় সেই ‘অপহরণকারীর’। জানা গিয়েছে মৃত সেই ব্রিটিশ নাগরিকের নাম ফৈসাল আক্রাম। পরে ম্যানচেস্টার থেকে দুই কিশোরকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ।
জানা যায়, টেক্সাসের কলিভিলে ইহুদিদের উপাসনালয়ে গিয়ে চার ইহুদিকে বন্দি করে এক সশস্ত্র জঙ্গি। জঙ্গির দাবি ছিল, মার্কিন জেলে বন্দি থাকা এক পাকিস্তানি স্নায়ুবিজ্ঞানীর মুক্তি দিতে হবে। উল্লেখ্য, যে পাক বিজ্ঞানীর দাবি জঙ্গিটি পেশ করে, সে আফগানিস্তানে এক মার্কিন সেনাকে খুনের চেষ্টা করার দায়ে ধৃত। ঘটনায় জঙ্গির সঙ্গে কথা বলে বাকি বন্দিদের ছাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন এফবিআই-এর আধিকারিকরা। ঘটনার দিকে নজর রেখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। এদিকে ফেসবুকে মৃত আক্রামের ভাই গুলবার বলেন যে তাঁর ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। গুলবার নিজে বার্মিংহামে থাকেন।
জঙ্গির মূল দাবি ছিল, আফিয়া সিদ্দিকির মুক্তি। আফিয়া একজন পাকিস্তানি নিউরোসায়েন্টিস্ট। আল-কায়দার সঙ্গে আফিয়ার যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হত। আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক আধিকারিকদের হত্যার চেষ্টার দায়ে আফিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আফিয়াকে। ২০১০ সালে আফিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে সে টেক্সাসের ফেডারেল কারাগারে আছে। আফিয়ার সঙ্গে কথাও বলতে চায় সেই জঙ্গি।