বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > রাজকোষ ছেড়ে নিজের আয়ে বাঁচার ঘোষণা হ্যারি-মেগ্যানের, ক্ষুব্ধ বাকিংহাম

রাজকোষ ছেড়ে নিজের আয়ে বাঁচার ঘোষণা হ্যারি-মেগ্যানের, ক্ষুব্ধ বাকিংহাম

সাধারণ জীবন যাপন করতে চান হ্যারি ও মেগ্যান।

মনে করা হচ্ছে, কানাডায় ছুটি কাটাতে গিয়েই গোপনে এই পরিকল্পনা ফাঁদেন হ্যারি ও মেগ্যান। এমনকি রাজ পরিবারের অগোচরে তাঁরা ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটও তৈরি করেন।

রাজ পরিবারের বিলাস ছেড়ে এবার স্বোপার্জিত আয়ে সাধারণ জীবন যাপন করবেন বলে ঘোষণা করলেন ব্রিটেনের রাজকুমার প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী ডাচেস অফ সাসেক্স মেগ্যান মার্কেল। বাকিংহ্যাম প্যালেসের অনুমতি ছাড়াই ঘোষণার জন্য ক্ষুব্ধ ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

কানাডায় ৬ সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে ফেরার পরে হ্যারি ও মেগ্যান সিদ্ধান্ত নেন, এবার থেকে ব্রিটেন ও উত্তর আমেরিকায় ভাগাভাগি করে তাঁরা জীবন যাপন করবেন।

বাকিংহাম প্রাসাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, হ্যারি ও মেগ্যানের এই ঘোষণায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং রাজ পরিবার ‘গভীর ভাবে ব্যথিত’ এবং ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বুধবার রাজ পরিবারের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত জানানো হয়েছে, ‘ডিউক ও ডাচেস অফ সাসেক্সের সঙ্গে সবে আলোচনা শুরু হয়েছে। ওঁদের ভিন্ন পথচলার বিষয়টি আমরা বুঝতে পেরেছি, তবে এ সবই জটিল বিষয় যা কার্যকর করা সময়সাপেক্ষ।’

রাজপরিবারের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, ‘ওদের জন্য সকলে অনেক আপস করেছে। যেমন চেয়েছিল তেমন ভাবেই বিয়ে হয়েছে। যেমন পদমর্যাদা চেয়েছিল, তাই পেয়েছে। যা এঅর্থ চেয়েছিল, তাই পেয়েছে। যেমন যেমন কর্মচারী চেয়েছিল, তা পেয়েছে। যেখানে যেমন ভ্রমণ করতে চেয়েছিল, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং পরিবারের সম্পূর্ণ সমর্থনও পেয়েছে। আর কী চাই ওদের?’

আর এক সূত্র জানিয়েছেন, ‘এমন আচরণ রানির একেবারেই প্রাপ্য নয়। তাঁর সঙ্গে খুবই অবজ্ঞাপূর্ণ ব্যবহার করা হল। পরিবার বুঝতে পেরেছে যে ওরা ভিন্ন কিছু করতে চায় এবং তার জন্য ওদের সমর্থন জানাতেও তৈরি রয়েছে। কিন্তু ওদের আচরণে সকলে খুব ভেঙে পড়েছে।’

মনে করা হচ্ছে, কানাডায় ছুটি কাটাতে গিয়েই গোপনে এই পরিকল্পনা ফাঁদেন হ্যারি ও মেগ্যান। এমনকি রাজ পরিবারের অগোচরে তাঁরা ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটও তৈরি করেন। ছুটি কাটিয়ে ব্রিটেনে ফিরে ওয়েবসাইট চালু করার পরিকল্পনাও তখনই করা হয়। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের থেকেও সযত্নে তাঁরা আড়াল করেন।

রাজ পরিবার ঘনিষ্ঠ আরও এক সূত্র মন্তব্য করেছেন, ‘প্রতারণার মাত্রা সাংঘাতিক পর্যায়ের ছিল এবং সকলেরই মনে হচ্ছে যে তাঁদের পিঠে ছুরি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তবে রাজকীয় পদ ছাড়লেও পরিবারসূত্রে পাওয়া বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা আগের মতোই ভোগ করবেন এসেক্সের ডিউক ও ডাচেস। ‘সভারেন গ্র্যান্ট’ বাবদ অর্থ নিতে অস্বীকার করলেও বাবা প্রিন্স চার্লসের থেকে অর্থ নিতে আপত্তি করেননি হ্যারি। বিয়ের উপহার হিসেবে রানির থেকে পাওয়া উইন্ডসরের ফ্রগমোর কটেজের স্বত্বও ছাড়ছেন না দম্পতি। ব্রিটেনে থাকার সময় এখানেই তাঁরা বাস করবেন।

পাশাপাশি, করদাতাদের অর্থে পুলিশি নিরাপত্তা নিতে আপত্তি নেই ব্রিটেনের ছোট যুবরাজ ও যুবরানির। তবে ব্রিটেন ও কমনওয়েল্থ নথিভুক্ত দেশগুলিতে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন ও মর্যাদা উপভোগ করতে তাঁরা রাজি হননি।

বন্ধ করুন