ইউক্রেনের দিকের সীমান্তে রাশিয়ান বাহিনী। আর তাতে উদ্বিগ্ন পশ্চিমী বিশ্ব। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই রাশিয়াকে 'দ্রুত, কঠোর এবং ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া' হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
পশ্চিমী দেশগুলির গোয়েন্দা আধিকারিকরা বলছেন, রাশিয়া সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের পূর্ব দিকে এখন প্রায় ১ লক্ষ সৈন্যের জমায়েত হয়েছে।
গোয়ান্দাদের আশঙ্কা, ২০১৪ সালের ক্রিমিয়ার মতোই রাশিয়া আবারও হানা চালাতে পারে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই পশ্চিমী দেশগুলি ও মস্কোর মধ্যে বহু দফার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ওই এলাকা থেকে এখনও অনড় রাশিয়ান সৈন্যরা।
রাশিয়া অবশ্য উল্টো আশ্বাস দিচ্ছে। তারা বলছে এই ভয় ভিত্তিহীন। যুদ্ধ শুরুর কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা এখন পশ্চিমীরা সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সংকটের সূত্রপাত
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দেশগুলির সীমান্ত আছে। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের গভীর সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। সেখানে রাশিয়ান ভাষাও ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলির দিকে ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপে রাশিয়া তার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। রাশিয়া চায় ইউক্রেন যাতে ন্যাটোতে(NATO) যোগদান না করে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীও ইউনিয়নের দেশগুলি এবং ন্যাটো মিত্রদের সমন্বয়ে গঠিত পশ্চিমা জোট এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
যুদ্ধের ভয় আছে?
পশ্চিম বিশ্ব বলছে, হ্যাঁ। এই আশঙ্কা থেকে বেশ কয়েকবার দুই পক্ষের আলোচনাও হয়েছে। পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তবে সৈন্যরা ইউক্রেনীয় সীমান্তেই রয়ে গিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া এমন কোনও প্রমাণ দেয়নি যে তারা আক্রমণ করবে না।
জেনেভায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনার পর, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ আশ্বস্ত করেছেন যে 'ইউক্রেন আক্রমণ করার কোন পরিকল্পনা বা উদ্দেশ্য নেই।'
তবে পুতিনের সাম্প্রতিক বিবৃতি পশ্চিমকে উদ্বিগ্ন করেছে। পশ্চিমের 'আক্রমনাত্মক পদ্ধতির' বিরুদ্ধে 'উপযুক্ত প্রতিশোধমূলক সামরিক ব্যবস্থা' নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার একটি প্রেস কনফারেন্সে, বিডেন জানান, তিনি মনে করেন পুতিন ইউক্রেনে 'অবস্থান করবেন'। যদিও তিনি এই সম্ভাবনাও জানান যে রাশিয়ার পরিকল্পনায় ফুল-স্কেল আক্রমণ নাও হতে পারে।