ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি এখনও। এরই মাঝে থেকে থেকে ইউক্রেনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিভীষিকাময় সব ঘটনা সামনে আসছে বিশ্বের। নৃশংসতার এই দৃশ্য চোখে দেখা যায় না। তবে তাই বাস্তব। এই আবহে এবার এবার মারিউপোল শহরের এক আবাসিক বিল্ডিংয়ের বেসমেন্ট থেকে উদ্ধার হল ২০০ জন মানুষের দেহ। বিল্ডিংটির ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে সেখানে পৌঁছে এই দৃশ্য দেখতে পান উদ্ধারকারীরা। এদিকে মারিউপোলে অবশিষ্ট ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘিরে ফেলে আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া। (আরও পড়ুন: তেলেই নিভবে হেঁশেলের ‘আগুন’, মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের! দাম কমতে পারে ভোজ্য তেলের)
মারিউপোল শহরের মেয়রের মুখ্য উপদেষ্টা পেট্রো অ্যান্ড্রুশচেঙ্কো জানান, দেহগুলি পচাগলা অবস্থায় মিলেছে। এদিকে গত সপ্তাহে নির্বিচারে বোমা বর্ষণ চলেছে ইউক্রেনের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত এই শহরে। সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টিল প্ল্যান্টে ঘাঁটি গেড়ে লড়াই চালাচ্ছিলেন ২৫০০ ইউক্রেনীয় সৈনিক। তবে তাঁরাও আত্মসমর্পণ করেন গত সপ্তাহে। যুদ্ধের আগে যেখানে মারিউপোলের বাসিন্দা সংখ্যা ছিল সাড়ে চার লাখ। সেখানে বর্তমানে সেখানে আর ১ লাখ বাসিন্দা আছেন কোনও মতে। তাঁদের কাছে জল, খাবার নেই। বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। যাঁরা আছেন তাঁরা সেকান থেকে পালানোর পছ খুঁজছেন। আর এরই মধ্যে মানবিকতা ভুলে হামলা জারি রেখেছে রুশ সেনা।
উল্লেখ্য, ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ ঘোষণার তিন মাস হয়ে গেলেও পূর্ব ইউরোপের ছোট্ট দেশটির দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মনোভাব টলাতে পারেনি রাশিয়া। বহু ক্ষেত্রেই রাশিয়াকে ঠেকিয়ে পালটা মার দিতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেন। গতকালই ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো পরিষেবা চালু করা হয়েছে। এর আগে এখানেই এয়ার রেডের সময় আশ্রয় নিচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। তবে দেখা গিয়েছে বিগত কয়েকদিনে খারকিভে হামলা অনক কমেছে।