ইউক্রেনের লুহানস্কের একটি গ্রামে স্কুলে রাশিয়ার হামলায় অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনা প্রসঙ্গে আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি গাইদাই রবিবার বলেছেন, ‘পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের একটি গ্রামের স্কুলে রাশিয়ার বোমা হামলায় ৬০ জনের মতো লোক নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাশিয়ান বাহিনী শনিবার বিকেলে বিলোহোরিভকার স্কুলে একটি বোমা ফেলে যেখানে প্রায় ৯০ জন লোক আশ্রয় নিয়েছিলেন। রুশ হামলার জেরে এই ভবনটিতে আগুন লেগে যায়।’ (আরও পড়ুন: বোনের বিয়ের ঋণ শোধ করতে IPL ম্যাচে বাজি, সব হারিয়ে মাকে নিয়ে আত্মহত্যা যুবকের)
সেরহি গাইদাই টেলিগ্রামে লেখেন, ‘প্রায় চার ঘণ্টা পর আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়, তারপর ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা হয়, এবং দুর্ভাগ্যবশত, দু'জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ধ্বংসস্তূপ থেকে ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে সাতজন জখম হয়েছেন। ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
এদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ইউক্রেন এবং পশ্চিমা দেশগুলি রাশিয়ার বাহিনীকে তোপ দেগে অভিযোগ করে যে যুদ্ধে অসামরিক সাধারণ লোকদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। যদিও মস্কো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার গভীর রাতে এক ভাষণে বলেছেন যে মারিউপোলে আজভস্টাল স্টিলওয়ার্ক থেকে ৩০০ জনেরও বেশি অসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ এখন আহতদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করছে। উল্লেখ্য, মারিউপোল শহরে ইউক্রেনীয় সেনার শেষ প্রতিরোধ আজভস্টাল স্টিলওয়ার্কে। এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই স্টিল প্ল্যান্টের উপর ‘বিশেষ অপারেশন’ করার কথা বলেছিলেন। তাঁর কথায়, এই কারখানাকে চতুর্দিক দিকে ঘিরে ফেলা হোক এবং কাউকে না এখান থেকে বের হতে দেওয়া হোক না ঢুকতে দেওয়া হোক।