আজকে সকালেই পোল্যান্ড থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ভিকে সিং জানিয়েছিলেন যে এক ভারতীয় পড়ুয়া কিয়েভ ছেড়ে সীমান্তে আসার পথে গুলিবিদ্ধ হন ভারতীয় পড়ুয়া। পরে গুলিবিদ্ধ পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানা যায়, জখম পড়ুয়ার নাম হরজ্যোত সিং। তিনি দিল্লির বাসিন্দা। বর্তমানে হরজ্যোত হাসপাতালে ভর্তি কিয়েভে। এক সংবাদ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে হরজ্যোত বলেন দূতাবাস থেকে তাঁর সঙ্গে সঠিক ভাবে যোগাযোগ করা হয়নি।
গুলিবিদ্ধ পড়ুয়া বলেন যে যখন গুলি চালানো হয়, সেই সময় তিনি একটি ট্যাক্সিতে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে অন্য দুই জনও ছিলেন। হরজ্যোত জানান, আচমকা তিনি বন্দুকের আওয়াজ শুনতে পান। এর কিছুক্ষণ পরে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে একটি হাসপাতালে দেখতে পান। আপাতত সেখানে তাঁর চিকিৎসকরা তাঁকে বলেন যে তাঁর শরীরে একাধিক গুলি বিদ্ধ হয়েছিল।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দয়া করে আমাকে এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। ভেবেছিলাম মরে যাব, কিন্তু এত তাড়াতাড়ি মরতে চাইনি। আমি আমার পরিবারের সাথে আমি আমার জীবন কাটাতে চাই। মায়ের প্রার্থনার জোরেই আজ আমি বেঁচে আছি।’ ভারতীয় দূতাবাস থেকে ২০ মিনিট দূরে কিয়েভ ক্লিনিকাল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এর আগে সকালে ভিকে সিং বলেন, ‘আমি আজ জানতে পেরেছি যে কিয়েভ থেকে আসার পথে একজন ছাত্রকে গুলি করা হয় এবং মাঝপথে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়ে। আমরা চেষ্টা করছি যত কম সম্ভব ক্ষয়ক্ষতি হয়। সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করার।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় দূতাবাস এর আগে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে সকলের অবিলম্বে কিয়েভ ত্যাগ করা উচিত। যুদ্ধের সময় বন্দুকের বুলেট কারো ধর্ম ও জাতীয়তার দিকে তাকায় না।’ বর্তমানে জেনারেল ভিকে সিং পড়ুয়াদের উদ্ধারকাজের তদারকি করতে পোল্যান্ডে রয়েছেন।