রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের জেরে গত কয়েকদিন ধরে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই আবহে এখনও কয়েক হাজার পড়ুয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিয়েভে প্রায় কোনও ভারতীয় নেই। যুদ্ধ বিধ্বস্ত খারকিভ থেকেও সিংহভাগ পড়ুয়াদের ইউক্রেন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে সুমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০০ ভারতীয় পড়ুয়ার কাউকেই এখনও ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়নি। এই আবহে সেই পড়ুয়ারা ভারতের পতাকা হাতে ভারত সরকারের উদ্দেশে বার্তা দিলেন।
সুমিতে আটকে পড়া ভারতীয় শিক্ষার্থীরা একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে জানাযন, এটাই তাঁদের শেষ ভিডিয়ো। তাঁদের কিছু হলে এর জন্য দায়ী থাকবে ভারত সরকার ও ভারতের দূতাবাস। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী সুমি শহরের স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।
উল্লেখ্য, গত দশ দিন ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। রুশ সেনারা ইউক্রেনের অনেক এলাকা ধ্বংস করেছে এবং অনেক শহরে এখনও গোলাবর্ষণ চলছে। এই হামলায় বহু সাধারণ মানুষ মারা গিয়েছেন। খারকিভে এক ভারতীয় পড়ুয়াও মারা গিয়েছেন সংঘর্ষে। কিয়েভে এক পড়ুয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন ছাড়তে মরিয়া হয়ে পড়েছেন সুমি স্টেট ইউনিভার্সিটির ভারতীয় পড়ুয়ারা। তাঁদের কাছে না আছে খাবার না আছে জল। এই পরিস্থিতিতে ভিডিয়ো প্রকাশ করে তাঁরা বলেন যে এটি তাদের শেষ ভিডিও কারণ তারা ৬০০ কিলোমিটার দূরে মারিউপোল যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, রাশিয়া দুটি শহরে আজ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে একটি হল মারিউপোল।
এদিকে পড়ুয়াদের এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে পড়ুয়ারা বম্ব শেল্টারে আশ্রয় নেন এবং তাঁদের উদ্ধার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের সুমিতে আটকে পড়া ভারতীয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ করিডোর তৈরি করার জন্য তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির জন্য একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় সরকারকে দৃঢ়ভাবে চাপ দিয়েছি।’