কিয়েভ থেকে একজন বাদে প্রায় সব ভারতীয় পড়ুয়াকেই ইউক্রেন থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছে। খারকিভে আটকে পড়া সিংহভাগ ভারতীয়কেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। তবে ইউক্রেনের সুমিতে এখনও আটকে ৬০০ ভারতীয় পড়ুয়া। কোনও বিদ্যুত নেই, খাবার নেই, জল নেই। তবে তারই মধ্যে দেশে ফেরার আশা বুকে নিয়ে বেঁচে শতাধিক ভারতীয়। তাঁদেরই একজন মালবিকা মুরালি। বারুদের গন্ধের মধ্যেও বাঁচার তাগিদে রাস্তায় পড়ে থাকা বরফ গলিয়ে জল খেতে হচ্ছে মালবিকাকে। হিন্দুস্তান টাইমসকে মালবিকা জানান, একটি বিস্ফোরণের আওয়াজের পরপরই তিনি আশ্রয়স্থল থেকে বের হতে বাধ্য হন। তুষারপাতের ফলে রাস্তায় জমে থাকা বরফ নিয়ে এসে তা গলিয়ে জল খান।
মালবিকা বলেন, ‘আমরা জল সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম। তবে তা ফুরিয়ে গিয়েছিল। কোনও বিদ্যুত নেই। আমরা বেশি জল খেতে পারছি না। সবসময় ফোন ব্যবহার করতে পারছি না। পরে চার্জ দেওয়া যাবে না।’ লামবিকা জানান, তাঁরা ক্রমাগত বিস্ফোরণ ও এয়ার রেড সাইরেন শুনতে পারছেন। তবে এরই মধ্যে তারা আশার খবর শোনার জন্যে ফোনটিকে কাছে রাখছেন। তবে যেকোনও সময় ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যেতে পারে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কিয়েভ, খারকিভ থেকে ভারতীয় উদ্ধারের তোড়জোড় হলেও সুমি বিশ্ববিদ্যালয়তে পঠনরত ৬০০ ভারতীয়র একজনকেও এখনও উদ্ধার করা হয়নি। মালবিকা জানান, তাঁরা খবর পান যে সুমি থেকে মাত্র ৬৫ কিমি দূরে ভারতের তরফে পড়ুয়াদের উদ্ধার করার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সেই জায়গায় যেতে গেলে ইউক্রেন সরকারের অনুমতি লাগবে বলে জানান তিনি। তবে ইউক্রেন সরকার বা ভারতীয় দূতাবাস তাঁদের সেই ক্লিয়ারেন্স দেয়নি। মালবিকা বলেন, ‘ছাড়পত্র ছাড়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সময় কারোর কিছু হলে তার দায়ভার কেউ নেবে না। তাই অনুমতি ছাড়া ভ্রমণ করা যাবে না। তবে সুমি থেকে নিরাপদে আমাদের সরিয়ে নেওয়ার এটা একমাত্র সুযোগ ছিল।’ ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে মালবিকা বলেছেন, ‘শুধু একটা অনুরোধ, আমাদের যাতে শীঘ্রই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এখান থেকে। কারণ আমরা জল এবং খাবার ছাড়া বেশি দিন বাঁচতে পারি না।’