ইউক্রেনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরশহর মারিউপোল পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে চলেছে গিয়েছে বলে দাবি করল ক্রেমলিন। এই আবহে রাশিয়ার ‘সামরিক অভিযানে’ বন্দরশহর মারিউপোলের ‘স্বাধীনতায়’ শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর আগে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু দাবি করেন যে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী মারিউপোলের দখল নিয়ে নিয়েছে পুরোপুরি। উল্লেখ্য, রাশিয়া মারিউপোলের দখল নেওয়ায় ক্রাইমিয়ার সাথে এবার জুড়ে গেল দোনবাস এলাকা। এই পরিস্থিতিতে দোনবাস অঞ্চল দখলের রাস্তা আরও প্রশস্ত হল রাশিয়ার জন্য। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এও জানান, এখনও দুই হাজার ইউক্রেনীয় সৈনিক লড়াই জারি রেখেছেন মারিউপোলে।
এদিন রুশ সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত একটি বৈঠকে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট পুতিনকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলছেন যে মারিউপোল ‘স্বাধীন হয়েছে’। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু পুতিনকে বলেন যে আজোভস্টাল শিল্প এলাকার একটি কারখানায় লুকিয়ে রয়েছেন ইউক্রেনের দুই হাজার সৈনিক। কারখানার ভূগর্ভস্থ টানেলের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে শেষ লড়াই চালানোর চেষ্টা করছেন ইউক্রেনীয় সৈনিকরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্তালিনগ্রাদেও কতকটা এভাবেই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের। তবে একবিংশ শতাব্দীতে স্তালিনগ্রাদের পুনরাবৃত্তি হবে কি না, তা সময়ই বলতে পারবে।
আরও পড়ুন : মিনিটে ধ্বংস হতে পারে ওয়াশিংটন বা লন্ডন, যেন ‘শয়তানে’র এক রূপ পুতিনের এই মিসাইল!
এদিকে বন্দরশহরের যুদ্ধ প্রসঙ্গে পুতিন এদিন বলেন যে মারিউপোলের ‘মুক্তি’ রাশিয়ান বাহিনীর জন্য একটি বড় ‘সফল্য’। তবে শোইগুকে আজোভস্টাল শিল্প এলাকায় পরিকল্পিত সামরিক হামলা থামানোর নির্দেশ দিলেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, এই হামলার আর কোনও প্রয়োজন নেই। বদলে তিনি নির্দেশ দেন যাতে গোটা এলাকাটাকে ব্লক করে দেওয়া হয় যাতে কোনও মাছিও সেখান থেকে পালাতে না পারে। উল্লেখ্য, বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এই শহরটিকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলায় বহু সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উড়িয়ে এসেছে প্রথম থেকেই।