বিগত তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে হামলা জারি রেখেছে রুশ সেনা। তবে এর মধ্যেও যুদ্ধ শেষের কোনও ইঙ্গিত মিলছে না। এদিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হচ্ছে যে রুশ সেনা ইউক্রেনে আক্রমণ করে ‘ফেঁসে গিয়েছে’। চিনের থেকেও নাকি ‘সামরিক সহায়তা’ চেয়েছে রাশিয়া। এই সব গুজব, জল্পনার মাঝেই একাধিকবার পারমাণবিক হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই আবহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক নির্দেশে পারমাণবিক হামলার শঙ্কা আরও বাড়ল। জানা গিয়েছে, পুতিন ‘নিউক্লিয়ার ইভ্যাকুয়েশন’ ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এরই মাঝে আবার পুতিন নিজের পরিবারকে পাঠিয়েছেন সাইবেরিয়ায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিন পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছেন, এমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুতিনের পারমাণবিক যুদ্ধ উচ্ছেদ মহড়ার নির্দেশ ক্রেমলিন কর্মকর্তাদের হতবাক করেছে। উল্লেখ্য, একদিন আগেই রাশিয়ান সেনা হাইপারসনিক মিসাইল দিয়ে পশ্চিম ইউক্রেন আক্রমণ চালিয়েছিল। এই হামলায় ইউক্রেনের আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। রাশিয়ার এই হামলায় এখনও পর্যন্ত ১১২ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
দাবি অনুযায়ী, ক্রেমলিনের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পুতিন নিজেই নাকি সতর্ক করে দিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে তাঁরা পারমাণবিক যুদ্ধ উচ্ছেদ মহড়ায় অংশ নেন। রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ রাশিয়ার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব পেয়েছেন। মেদভেদেভ এবং পার্লামেন্টের দুই কক্ষের স্পিকারদেরও (ভ্যাচেস্লাভ ভোলোদিন এবং ভ্যালেন্টিনা মাতভিয়েনকো) পারমাণবিক যুদ্ধ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
এদিকে পুতিনের পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে পুতিন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাইবেরিয়ায় পাঠিয়ে দেন। সেখানে আলতাই পর্বতমালাকে একটি হাই-টেক আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে পরিণত করা হয়েছে। এটি কার্যত একটি সম্পূর্ণ ভূগর্ভস্থ শহর। বলা হচ্ছে, পুতিনের পরিবারের সদস্যরা এই বাঙ্কারে বসবাস করছেন।