‘শান্তি ফর্মুলা’ কার্যকরের জন্য ভারতের সমর্থন চাইলেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। যে প্রস্তাব গত মাসে ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ সম্মেলনে পেশ করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। পালটা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, পূর্ব ইউরোপের দেশে যাতে সংঘাতে ইতি পড়ে, সেজন্য যে কোনও শান্তি ফেরানোর চেষ্টায় সমর্থন করতে রাজি আছে নয়াদিল্লি।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে সোমবার মোদী এবং জেলেনস্কির ফোনালাপ হয়। সেখানে মোদী স্পষ্ট করে দেন যে অবিলম্বে সংঘাতে ইতি টেনে কূটনৈতিকভাবে ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষে আছে নয়াদিল্লি। ভারতের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনে যে সংঘাত চলছে, তা নিয়ে মোদী এবং জেলেনস্কির আলোচনা হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রের পরিবর্তে যাতে আলোচনার টেবিলে বসে যাতে সমস্যার সমাধান করা যায়, সেই বার্তা দিয়েছেন মোদী।
জেলেনস্কি আবার টুইটারে জানিয়েছেন, গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনে যে ‘শান্তি ফর্মুলা’-র প্রস্তাব পেশ করেছিলেন, তা কার্যকর করার জন্য মোদীর কাছে সমর্থন চেয়েছেন। যদিও সেই প্রস্তাব নিয়ে ভারত সরকারের বিবৃতিতে সরাসরি কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে নয়াদিল্লির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর জন্য যে কোনও প্রক্রিয়ায় ভারত যে সমর্থন করতে প্রস্তুত আছে, তা জানিয়েছেন মোদী। সেইসঙ্গে ভারত যে ইউক্রেনে সাহায্য প্রদান করতে থাকবে, তাও নয়াদিল্লির বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবরও মোদী ও জেলেনস্কির ফোনে কথা হয়েছিল। তারপর সোমবারের ফোনালাপে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে দ্বিাপক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন মোদী এবং জেলেনস্কি। তারইমধ্যে ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য জেলেনস্কিকে আর্জি জানান মোদী।
এমনিতে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণের পর প্রায় ২০,০০০ পড়ুয়া ইউক্রেন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। যে পড়ুয়াদের অধিকাংশই ইউক্রেনে মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে পড়াশোনা করেন। সম্প্রতি প্রায় ১,০০০ জন পড়ুয়া ইউক্রেনে ফিরে গিয়েছেন। তবে তাঁদের পড়াশোনা গিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি।