আজই রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করে নয়া সরকার গঠন করবেন ঋষি সুনক। আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজই ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রথমবারের মতো পা রাখবে তিনি। তবে এর আগে গতকাল ‘১৯২২ কমিটি’র ফল প্রকাশের পরই ঋষি সতীর্থ সাংসদদের সঙ্গে দেখা করে বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ হতে হবে নয়ত দলের মৃত্যু ঘটবে।’ সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, গতকাল দলীয় সাংসদদের সঙ্গে ওয়েস্টমিনিস্টারে দেখা করে নিজের পরিকল্পনার বিষয়ে জানান ঋষি সুনক।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে ঋষি সুনক ‘স্থিতিশীলতা এবং ঐক্যের’ বার্তা দেন। ঋষি সুনক বলেন, ‘আমাদের এখন স্থিতিশীলতা এবং ঐক্য দরকার। আমি আমাদের দল এবং আমাদের দেশকে একত্রিত করার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব। আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলি কাটিয়ে উঠতে হবে যাতে আমাদের সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যত তৈরি করা যায়। আমি অঙ্গীকার করছি যে আমি সততা এবং বিনম্রতার সঙ্গে আপনাদের সেবা করব এবং আমি ব্রিটিশ জনগণের জন্য দিনরাত কাজ করব।’
এই জয়কে তাঁর জীবনের ‘সর্বশ্রেষ্ঠ সুযোগ’ বলে অভিহিত করেন ঋষি। তাঁর কথায়, ‘যে দেশের কাছে আমি ঋণী, তাকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে।’ সুনক আরও বলেন যে তিনি তাঁর সংসদীয় সহকর্মীদের সমর্থনে কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হতে পেরে ‘সম্মানিত’।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ব্রিটেনের সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সের সদস্য হন সুনক। ভগবত গীতায় হাত দিয়ে শপথগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ব্রিটেনের চ্যান্সেলর বা অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি। পরে অবশ্য দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। পরবর্তীতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিলেন। কিন্তু লিজ ট্রাসের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে মাত্র ৪৫ দিন থাকেন ট্রাস। তাঁর ইস্তফার পর ঋষিই হচ্ছেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী।