সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের সময় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্ত-পূর্ব দিল্লির দাঙ্গায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত ছাত্র নেতা উমর খালিদ। দিল্লি দাঙ্গার বৃহত্তর ষড়যন্ত্র মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে তাঁর। এহেন উমর খালিদের জামিনের মামলার শুনানি ছিল আজ দিল্লি হাই কোর্টে। সেই শুনানি চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘জুমলা’ শব্দ প্রয়োগ করা নিয়ে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল উমর খালিদকে। আদালতের তরফে এদিন বলা হয়, সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্রে ‘একটি লাইন’ বা ‘লক্ষ্মণরেখা’ থাকা উচিত।
২০২০ সালে অমরাবতীতে উমর খালিদের দেওয়া এক ভাষণ শুনে দিল্লি হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, ‘ভাষণে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কী বলছেন তিনি? কিছু 'চাঙ্গা' শব্দ ব্যবহার করা হয়েছিল এবং তার পরে... এই 'জুমলা' শব্দটি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। এটা কি সঠিক?’ এদিকে আদালতে দাঁড়িয়ে উমর খালিদের আইনজীবীর সওয়াল, ‘সরকারের সমালোচনা অপরাধ হতে পারে না। যে ব্যক্তি সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করে তাঁকে ৫৮৩ দিন জেলে রাখা হবে, তা কল্পনা করা হয়নি। আমরা এতটা অসহিষ্ণু হতে পারি না। এই ভাবে মানুষ কথা বলতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: এক জাতি, এক ধর্ম এবং এক ঈশ্বর নীতি মানলে কেউ ভারতকে ভাগ করতে পারবে না: মোদী
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দিল্লি হিংসার ষড়যন্ত্র মামলায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) মামলা রুজু করা হয়। যে মামলায় উমরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাতে গত ২০২০ সালের উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার ঘটনায় ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিক’ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে হিংসাত্মক ঘটনায় কমপক্ষে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং জখম হয়েছিলেন ৪০০ জনের মতো মানুষ।