ইউক্রনে রাশিয়ার হামলার বর্ষপূর্তিতে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় প্রস্তাব পাশ হল। ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে এই প্রস্তাব পাশ করা হয়। এর জন্য ভোটাভুটি হয় সাধারণ সভায়। তবে ভোটদান থেকে বিরত থাকল চিন এবং ভারত। ১৪১ সদস্য এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ৭ সদস্য প্রস্তাবের বিপক্ষে, তবে ভারত ও চিন-সহ ৩২টি সদস্য ভোটদান থেকে বিরত থাকে। এই প্রস্তাবে রাশিয়াকে ইউক্রেনে শত্রুতা বন্ধ করতে এবং বাহিনী প্রত্যাহার করার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এরপরেই রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, ‘এটা প্রমাণ করে যে শুধুমাত্র পশ্চিমারা রাশিয়াকে সমর্থন করে না।’ উল্লেখ্য, ৭৫টিরও বেশি দেশের বিদেশমন্ত্রী এবং কূটনীতিকরা দুই দিনের বিতর্কের সময় সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন। অনেকে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, রাষ্ট্রসংঘ একটি মৌলিক নীতি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারত ভোটদান থেকে বিরত কেন থাকল সে প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ জানান, ‘ভারত ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। দু’দেশের সংঘাতের কারণে বহু মানুষের প্রাণহানী হয়েছে। দুর্ভোগ বাড়ার পাশাপাশি লক্ষাধিক মানুষ বাড়িছাড়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের উপর হামলা সত্যিই উদ্বেগজনক।' তিনি আরও জানান, ‘ভারত সব সময় রাষ্ট্রসংঘের সনদের নীতিগুলিকে সমর্থন করে। আমাদের দেশেও আমরা আলোচনা এবং কূটনৈতিক পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাবে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি সুরক্ষিত করার যে পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে তাতে বহু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেই কারণে ভারত ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে।’
প্রসঙ্গত, এক বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উভয় পক্ষের হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বহু শহর। এর প্রভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি দাম বেড়েছে। পোল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী জেবিগনিউ রাউ বলেছেন, ‘ইউক্রেনের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই এবং সমর্থন করি।’
অন্য দিকে, রাশিয়া যুদ্ধ থেকে পিছু হঠতে রাজি নয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তির ঠিক আগে পরমাণু অস্ত্রসম্ভার বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি জানান, পারমাণু অস্ত্রসম্ভার বাড়ানোর জন্য আরও বেশি করে অর্থ বরাদ্দ করা হবে। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের উপর হামলা চালায় রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পশ্চিমি দেশগুলি ইউক্রেনকে সমর্থন করছে। বহু আলোচনার পরেও কোনও সমাধান হয়নি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup