World Population Crosses 8 Billion: বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। আগামী ১৫ বছরে তা ৯০০ কোটিতে পৌঁছে যেতে পারে। এমনটাই জানাল জাতিসংঘ। তবে এরপর জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি সামান্য হ্রাস পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০৮০ সাল নাগাদ জনসংখ্যা ১,০০০ কোটিতে পৌঁছতে পারে।
১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ। এই সময়ে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা কত ছিল জানেন? মাত্র ১০০ কোটি। এরপর থেকে দ্রুত হারে চিকিত্সাব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। শিশু মৃত্যু কমেছে। বেড়েছে গড় আয়ু। আধুনিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তির বিকাশ হয়েছে। এদিকে প্রায় ২ শতক ধরে বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য ছিল না দেশগুলির। আর সেই কারণে, এই সময়ের মধ্যেই বিশ্ব জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঘটে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ভারতের জনসংখ্যা ২০২৩ সালে চিনকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০৫০ সালে ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৭০ কোটি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। চিনের বর্তমানে জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। সেটি হ্রাস পাবে। ২০৫০ সালের মধ্যে তা ১৩০ কোটিতে নেমে আসবে। আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কের থেকে বেশি হারে রিটার্ন, মিলবে কর ছাড়! পোস্ট অফিসের এই স্কিমে আপনার টাকা হবে দ্বিগুণ
৫০০ কোটি, ৬০০ কোটি এবং ৭০০ কোটিতম শিশুদের চেনেন? হ্যাঁ, এই শিশুদেরও আনুষ্ঠানিকভাবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। এটি কিছুটা আনুমানিক বলা যেতে পারে। তবে, একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়, এই ৩ শিশুই কিন্তু পড়াশোনার বিষয়ে বেশ উত্সাহী।
৫০০ কোটিতম শিশু: মাতেজ গ্যাসপার
১১ জুলাই ১৯৮৭ সাল। ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী শহর জাগ্রেবের একটি শহরতলিতে মাতেজ গ্যাসপার জন্মান। অ্যালেক্স মার্শাল নামে জাতিসংঘের এক আধিকারিক বিবিসিকে জানান, আনুমানিকভাবে ওই শিশুই বিশ্বের ৫০০ কোটিতম মানুষ। আজ ৩৫ বছর পর, গ্যাসপার এখন একজন বিবাহিত মানুষ। পড়াশোনায় মোটমুটি ভালই ছিলেন। জাগ্রেবে একজন রাসায়নিক ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করেন।
৬০০ কোটিতম শিশু: আদনান মেভিক
১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর আদনান সারাজেভোয় জন্মগ্রহণ করেন। জাতিসংঘের তত্কালীন সচিব কফি আনান তার নামকরণ করেন।
আদনানও পড়াশোনার বিষয়ে বেশ আগ্রহী। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করছেন। আদনান বলেন, পড়াশোনা শেষে সারাজেভোয় চাকরি খুঁজে না পেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনও দেশে চলে যাবেন। তিনি বিবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে জানান, ৬০০ কোটিতম শিশু হওয়ায় তাঁর জীবনে বেশ কিছু ভাল ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় হল, তাঁর প্রিয় ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। আরও পড়ুন: ডেটিং অ্যাপেই প্রেম, ডেটিং অ্যাপই কাল! কেন প্রেমিকার ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব?
৭০০ কোটিতম শিশু: সাদিয়া সুলতানা ঐশী
মধ্যরাতের পর ঘরির কাঁটা ঠিক এক মিনিট পেরিয়েছে। আর সেই সময়েই জন্ম হয় বিশ্বের ৭০০ কোটিতম শিশু ঐশীর। প্রায় এগারো বছর আগের কথা। এখন সে অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে। ঐশীও পড়াশোনায় বেশ মেধাবী। তার স্বপ্ন, বড় হয়ে চিকিত্সক হওয়া।