একেবারে তুচ্ছ কারণে ঝগড়া। আর তার জেরেই ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গুজরাটের গান্ধীনগরের ঘটনা। ওই ব্যক্তি তার কাকা ও কাকাতো ভাইদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে। তার ডান কানটি কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনাটিকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা?
শনিবার সকালে এই ঘটনা হয়েছে বলে খবর। দীপক ঠাকুর নামে ওই ব্যক্তি কৃষিকাজ করে সংসার প্রতিপালন করেন। তারই কান কেটে নেওয়া হয়েছে। দীপকের দাবি, তিনি বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে সকালে মন্দিরে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি দেখেন তার কাকা ভিকাজি ঠাকুর ও তার দুই ছেলে আকাশ ও মেলা ঠাকুর রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি করছেন। জলের পাইপ লাইন বসানোর জন্য তারা খুঁড়ছিল। এদিকে দীপক ও তার কাকা কাছাকাছি এলাকাতেই থাকেন। ওই রাস্তা দিয়েই তারা চলাফেরা করেন। দীপক কাকাকে বলেন, বালি ভর্তি একটি ট্রাক দিন কয়েকের মধ্যে আসবে। রাস্তার গর্ত তাড়াতাড়ি বোজাতে হবে। না হলে লরি আসতে পারবে না।
এদিকে দীপকের এই কথা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে তার কাকা ও কাকার ছেলেরা। এরপরই উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। পরে তারা দীপককে চেপে ধরে। তারপর তার কানটি কাটারি জাতীয় অস্ত্র দিয়ে কেটে নেওয়া হয় বলে দীপকের অভিযোগ।
এরপর তার কাকা আবার তার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কোনওভাবে প্রাণ হাতে করে পালিয়ে আসেন দীপক। তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর তাকে গান্ধীনগর সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একেবারে তুচ্ছ কারণে এই ভয়াবহ ঘটনা হয়ে গিয়েছে বলে খবর। বাড়ির সামনে রাস্তা খুঁড়ছিলেন। সেই কাজ তাড়াতাড়ি করার ব্যাপারে আবেদন করেছিলেন দীপক। কিন্তু তখনই উভয়ের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। আসলে বাড়িতে কিছু মেরামতির কাজ করতে চাইছিলেন দীপক। সেকারণেই বালি বোঝাই ট্রাক আসার কথা ছিল। এদিকে রাস্তা খোঁড়া থাকলে সেখান দিয়ে ট্রাক আসতে পারবে না। সেকারণেই তিনি গর্ত দ্রুত বুজিয়ে ফেলার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তখনই দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ বেঁধে যায়। এরপর সেখান থেকে একেবারে রক্তারক্তি ঘটনা। তার ডান কানটি কেটে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। আপাতত তার চিকিৎসা চলছে।