দেশ জুড়ে বেকারত্ব। এমনটাই তো বলেন বিরোধীরা। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বেকারত্ব নিয়ে এবার আশার কথা শোনালেন। মোদী জানিয়েছেন, গত ৬ বছরের মধ্য়ে দেশের বেকারত্বের হার একেবারে নীচের দিকে নেমে গিয়েছে। দেশের সম্প্রসারিত অর্থনীতিতে দেশের যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের জন্য নয়া রাস্তা খুলে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, দেশের কর্মসংস্থানের বিষয়টি একটা অন্য মাত্রা পেয়েছে। গত ৬ বছরের মধ্যে বেকারত্বের হার একেবারে সর্বনিম্ন জায়গায় গিয়েছে। তাঁর মতে বেকারত্ব গ্রাম ও শহর উভয় এলাকাতেই ক্রমেই কমছে। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র উন্নয়নের প্রভাবে কর্মসংস্থান হচ্ছে। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র নতুন নতুন সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গত কয়েক বছরে কীভাবে উন্নতির শিখরে গিয়েছে দেশ সেকথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। আগের সরকার কীভাবে দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়টিকে অবহেলা করত সেকথা তুলে ধরেন তিনি। মোদী বলেন, আমাদের সরকার দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়টি ভালো করে বোঝে। এজন্য আলাদা একটা মন্ত্রকও তৈরি করেছে। এজন্য আলাদা করে বাজেট বরাদ্দও হয়।
দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, কাজের প্রকৃতি দ্রুত বদল হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি করাটা অত্যন্ত দরকার। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্প, গবেষণা ও দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া দরকার। ৫০০০ নতুন আইটিআই করা হয়েছে। গত ৯ বছরে নতুন ৪ লাখ আইটিআই আসন তৈরি করা হয়েছে।
তাঁর মতে, আইটিআইগুলির উন্নতি করা হচ্ছে। মূলত সেখানে উচ্চমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মোদী জানিয়েছেন, ভারত এখন যুবক যুবতীদের দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দিচ্ছে। আগে এই জিনিস হত না। প্রধানমন্ত্রী কুশল বিকাশ যোজনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। একেবারে তৃণমূলস্তরে কীভাবে দক্ষতা বৃদ্ধির উপর ফোকাস করা হচ্ছে সেকথা উল্লেখ করেন তিনি। এই স্কিমের মাধ্যমে অন্তত ১.৫ কোটি যুবক, যুবতী উপকৃত হয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।