বুধবার পঞ্জাবের ফিরোজপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ১৫ থএকে ২০ মিনিট রাস্তায় আটকে ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়। সেই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করল পঞ্জাব পুলিশ। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির নামে এই এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবে পঞ্জাব পুলিশের এফআইআর-এ প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিরাপত্তায় গাফিলতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। জানা গিয়েছে, বিকেইউ (ক্রান্তিকারী)-র বিক্ষোভ প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি আটকে পড়ার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর এই এফআইআর রুজু হয়েছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফলতির বিষয়টি জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় তুলেছে ইতিমধ্যেই। তবে তা সত্ত্বেও পঞ্জাব পুলিশের এফআইআর-এ তার কোনও উল্লেখ ছিল না। এদিকে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন সংগঠন বিকেইউ (ক্রান্তিকারী)-র বহু নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে থাকলেও এফআইএর-এ তাদেরও কারোর নাম নেই। এফআইআরটি ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮৩ নম্বর ধারার (জনসাধারণের পথে বাধা) অধীনে করা হয়েছে। এটি জামিনযোগ্য অপরাধের ধারা। এর অধীনে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে কৃষক ইউনিয়নের প্রধান সুরজিত সিং ফুল দাবি করেন যে বুধবার সকাল ১১টায় শুরু হওয়া ধর্নায় প্রায় ১০০০ কর্মী ছিলেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে ফিরোজপুরে মোদী সমাবেশ স্থলে পৌঁছতে দেওয়া হয়নি বিজেপি সমর্থকদের বাসও। কিন্তু পুলিশের রেকর্ডে সড়ক অবরোধকারী ব্যক্তি ও সংস্থার কোনও উল্লেখই নেই। এদিকে কুলগড়ির স্টেশন হাউজ অফিশারের দায়ের করা এফআইআর অনুযায়ী, সেদিন বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুপুর আড়াইটায়। এর প্রায় এক ঘণ্টা আগেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর কনভয়কে ফিরে যেতে হয়েছিল। ভাতিন্ডা বিমানবন্দরে। আর এই এফআইআর-এ উল্লেখিত তথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকানো বিক্ষোভ হটাতে এত দেরিতে কেন গেল পুলিশ? তবে হিন্দুস্তান টাইমসের তরফে এই বিষয়ে ফিরোজপুর রেঞ্জের ডেপুটি আইজি ইন্দরবীর সিং বা সিনিয়র এসপি হরমনদীপ সিং হংসের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাঁরা কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।