ই-গোল্ডে (ডিজিটাল গোল্ড) বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রকৃত সোনাকে বৈদ্যুতিন সোনার রশিদ (ইজিআর) বা ই-গোল্ডে রূপান্তরিত করলে কোনও ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স দিতে হবে না।
সংসদে বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃত সোনাকে যদি ডিজিটাল সোনার রশিদে রূপান্তরিত করা হয় বা বৈদ্যুতিন সোনাকে প্রকৃত সোনায় রূপান্তরিত করা হয় তবে তার উপর ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপ করা হবে না। এর ফলে ই-গোল্ডে বিনিয়োগে উৎসাহ বাড়বে বিনিয়োগকারীদের।'
এই বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে মুম্বইয়ের আয়কর বিশেষজ্ঞ বলবন্ত জৈন বলেন, 'এখানে মনে রাখতে হবে, এই ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সে ছাড় শুধুমাত্র রূপান্তরের সময়ই পাওয়া যাবে। কিন্তু একজন বিনিয়োগকারী প্রকৃত সোনা কেনার জন্য যে মূল্য প্রদান করেছে তার উপর তাঁকে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স দিতে হবে।'
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন,' ২০০৮ সালে গয়নার বাজারে সোনার দাম ছিল ৯ হাজার টাকা প্রতি দশ গ্রাম। সেখানে আজ সেই সোনার ৫৮ হাজার টাকা প্রতি ১০ গ্রাম। কোন ব্যক্তি যদি ওই ২০০৮ সালে কেনা সোনাকে রূপান্তরিত করতে চান তার জন্য কোনও ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ধার্য হবে না। প্রফিট বুকিং-এর সময় ক্যাপিটাল গেইন হিসাবে সোনার মূল্য ধার্য হবে ৯ হাজার টাকা প্রতি ১০ গ্রাম হিসাবে, ৫৮ হাজার টাকা প্রতি ১০ গ্রাম হিসাবে নয়।'
এ বিষয়ে তাঁর আরও সংযোজন, এটির উদারহণ সোনার নগদীকরণ প্রকল্প থেকে নেওয়া উচিত নয়, কারণ তার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। মুনাফা গ্রহণের সময়, সোনায় বিনিয়োগকারীর প্রকৃত খরচের উপর ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপ করা হবে।
ইজিআর হল জমা সোনার রসিদ যা স্টক এক্সচেঞ্জে কেনাবেচা করা হয়। বিনিয়োগকারীরা ডিম্যাটেরিয়ালাইজড আকারে সোনা কেনেন এবং সেখানে প্রকৃত সোনার পরিবর্তে সোনার রসিদ দেওয়া হয়। বিএসই প্রথম স্টক এক্সচেঞ্জ যারা তাদের প্ল্যাটফর্মে ইজিআর চালু করেছিল।