কেন্দ্রীয় বাজেটে শুধুই বঞ্চনার সাক্ষ্য। আর তারই প্রতিবাদে ফেটে পড়ল ইন্ডিয়া জোট। আজ, বুধবার সংসদের বাইরে বিক্ষোভে সামিল হন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে–সহ অন্যান্যরা আজ ওয়াকআউট করেন। কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে সমালোচনা গতকাল থেকেই শুরু করেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। কারণ বাংলা–সহ একাধিক রাজ্যকে ‘বঞ্চনা’ করে শুধু জোটসঙ্গী বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিরাট বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই এই বাজেটকে ‘সরকার বাঁচানোর বাজেট’ বলে কটাক্ষ করে বিরোধী দলগুলি। আজ সেই ক্ষোভ আছড়ে পড়ল সংসদের বাইরে।
আজ বুধবার কংগ্রেস সাংসদ সোনিয়া গান্ধী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, অখিলেশ যাদব, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র–সহ আরও অন্যান্য সাংসদরাও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এদিন মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘বহু মানুষের সঙ্গে বাজেটে অন্যায় হয়েছে। তাঁদের সকলকে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের আজকের আন্দোলন। এটি একটি ধ্বংসাত্মক বাজেট। এটি অন্যায় হয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবেই।’
এদিকে বাজেট পেশের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গের বাসভবনে বৈঠকে বসেন বিরোধীদের মিলিত মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা। সেই বৈঠকেই স্থির হয়, বুধবার সংসদ ভবন চত্বরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। তার সঙ্গে আগামী ২৭ জুলাই যেসব রাজ্যে কংগ্রেস আছে সেসব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা যোগ দেবেন না নীতি আয়োগের বৈঠকে। রাতেই খবর আসে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতি আয়োগের বৈঠক। কারণ কেন্দ্রীয় বাজেটে রাজ্যকে বঞ্চনা করা হয়েছে। এই বাজেট নিয়ে সাংসদ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, ‘এটা প্রকৃত অর্থেই কুর্সি বাঁচাও বাজেট। বদলা নেওয়ার বাজেট তৈরি করা হয়েছে। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষকে এই বাজেটে বঞ্চিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে বিরাট জয় তৃণমূল কংগ্রেসের, প্রার্থী দিতেই ব্যর্থ সমবায় নির্বাচনে
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা এই বাজেটের বিরুদ্ধে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেও নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি। পরে নিতেও পারে। এই বঞ্চনার বাজেটের প্রতিবাদে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাহুল গান্ধী সকলেই। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে যাবেন। আর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘বঞ্চনার’ প্রতিবাদের একটি মঞ্চ হিসাবে এটাকে ব্যবহার করবেন। এমনকী ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আদায়ে সুর চড়াবেন।