মঙ্গলবার ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের বাজেটে আদমশুমারির জন্য ১৩০৯.৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এটি ২০২১-২২ সালের তুলনায় যদিও অনেক কম। সেই সময়ে, এক দশকের মধ্যে একবার এই কাজের জন্য ৩,৭৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আদমশুমারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বৈঠক করেছিল। তখন, ৮,৭৫৪.২৩ কোটি টাকা ব্যয় করে ভারতের ২০২১ সালের আদমশুমারি পরিচালনা এবং ৩,৯৪১.৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন প্রস্তুত করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ( ₹10000 Standard Deduction hiked for Pensioners: বাঁচবে কয়েক হাজার টাকা, পেনশনভোগীদের জন্যেও বড় 'উপহার' ছিল এই বাজেটে)
এরপর ২০২০ সালের ১ এপ্রিল, দেশজুড়ে আদমশুমারি করার কথা ছিল। কিন্তু সেই বছরেই দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বৈশ্বিক করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর থেকে আদমশুমারির কাজ এখনও থমকে আছে। এ জন্য সরকার এখনও নতুন কোনও কর্মসূচি ঘোষণা করেনি।
২০২৪ সালে কি আদমশুমারি হবে
কর্মকর্তারা বলেছেন যে যেহেতু এই বছর সবেমাত্র সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই ২০২৪ সালে আদমশুমারির কাজ করা হবে না। ২০২৪-২৫ সালের বাজেট অনুসারে, আদমশুমারি জরিপ এবং পরিসংখ্যানের জন্য ১৩০৯.৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যেখানে ২০২৩-২৪ সালে ৫৭৮.২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: (Budget 2024: কলকাতা সহ ১৪টি বড় শহরে যানবাহন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা বাজেটে)
আদমশুমারিতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হবে
তবে, এই বছরও আদমশুমারি না হলেও, কর্মকর্তারা একটা আশ্বাস দিয়ে বলেছেন যে পুরো দেশের আদমশুমারি এবং এনপিআর প্রক্রিয়াতে সরকার ১২,০০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করতে পারে। যখনই এই কাজটি করা হবে, এটিই হবে প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি, যা নাগরিকদের নিজেদের গণনা করার সুযোগ দেবে। যে নাগরিকরা সরকারি গণনার পরিবর্তে নিজেদের আদমশুমারী ফর্ম পূরণ করার অধিকার প্রয়োগ করতে চান, তাঁদের জন্য এনপিআর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর জন্য, আদমশুমারি কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ পোর্টালও প্রস্তুত করেছে, যা এখনও চালু করা হয়নি।
আরও পড়ুন: (Union Budget 2024: বিজেপির ইস্তেহারে থাকলেও ৭০ ঊর্ধ্বদের জন্য মিলল না স্বাস্থ্যবিমা)
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২৩ জুলাই, নির্মলা সীতারামন সাধারণ বাজেট পেশ করেছেন। এতে, আয়কর ফ্রন্টে মধ্যবিত্ত এবং কর্মরত ব্যক্তিদের ত্রাণ দিতে এবং আগামী ৫ বছরে যথেষ্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে।