এক কোটি অস্থায়ী কর্মচারীর জন্য পরিচয়পত্রের বন্দোবস্ত করা হবে। তাঁরা ই-শ্রম পোর্টালেও নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানিয়েছেন, নয়া যুগের অর্থনীতির ক্ষেত্রে অস্থায়ী কর্মচারীদের (গিগ ওয়ার্কার) ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে অস্থায়ী কর্মচারীদের জন্য পরিচয়পত্র এবং ই-শ্রম পোর্টালে নথিভুক্তিকরণের ব্যবস্থা করবে নরেন্দ্র মোদী সরকার। 'প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা'-র আওতায় সেই অস্থায়ী কর্মচারীরা স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। যে সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় এক কোটি অস্থায়ী কর্মচারী লাভবান হবেন।
কেন্দ্রীয় বাজেট ও আকর্ষণীয় তথ্য
বাজেট ফাঁস: ১৯৫০ সালে ছাপার সময় বাজেট ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। তারপর ছাপার প্রক্রিয়া রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে মিন্টো রোডে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নর্থ ব্লকের বেসমেন্টে বাজেট ছাপার করার কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৮০ সাল থেকে।
আরও পড়ুন: Income Tax Budget 2025 LIVE: আয়কর নিয়ে একের পর এক ঘোষণা নির্মলার, 'মধ্যবিত্তের জন্য করা হল'
শুধু ইংরেজিতে বাজেট: ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র ইংরেজিতে বাজেট থাকত। ১৯৫৫-৫৬ সাল থেকে ইংরেজি এবং হিন্দিতে বাজেট তৈরি করা হতে থাকে। সেই ধারার সূচনা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী সিডি দেশমুখ।
কেন্দ্রীয় বাজেট ও সংখ্যার খেলা
৩: এখনও পর্যন্ত মোট তিনবার কোনও প্রধানমন্ত্রী সাধারণ বাজেট পেশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৫৮ সালে জওহরলাল নেহরু, ১৯৭০ সালে ইন্দিরা গান্ধী এবং ১৯৮৭ সালে রাজীব গান্ধী বাজেট পেশ করেছিলেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছিলেন।
১৮,৬৫০: ১৯৯১ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং যে বাজেট পেশ করেছিলেন, তাতে ১৮,৬৫০টি শব্দ ছিল। যা শব্দের নিরিখে ভারতের ইতিহাসে দীর্ঘতম বাজেট। সেই বাজেটে ভারতীয় অর্থনীতিতে নয়া যুগের সূচনা করেছিলেন মনমোহন সিং। আর শব্দের নিরিখে সবথেকে ছোট বাজেট পেশ করেছিলেন মোরারজি দেশাইয়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থমন্ত্রী হিরুভাই এম প্যাটেল। মাত্র ৮০০ শব্দের বাজেট পেশ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: Budget 2025 LIVE in Bengali: বাজেটে বিহারকে একের পর এক উপহার, নয়া আয়কর বিলের ঘোষণা নির্মলার
৭২ শতাংশ: 'লাইভ মিন্ট'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সার্বিকভাবে বাজেটে যে পরিমাণ অর্থের সংস্থান করা হয়, সাধারণত তার একেবারে সামান্য ভাগ পেয়ে থাকে ৭২ শতাংশ মন্ত্রক। গত ১৬ বছরে কেন্দ্রের মোট খরচের এক শতাংশেরও কম বরাদ্দ করা হয়েছিল ৪২টি মন্ত্রক ও দফতরের জন্য। অন্যদিকে গড়ে ৫০ শতাংশের বেশি বরাদ্দ গিয়েছে মাত্র দুটি মন্ত্রকের কাছে - অর্থ মন্ত্রক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
১৬২ মিনিট: দীর্ঘতম বাজেট ভাষণের রেকর্ড আছে নির্মলা সীতারামনের ঝুলিতে। ২০২০ সালে ২ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের (১৬২ মিনিট) বাজেট পেশ করেছিলেন সীতারামন।