কেন্দ্রীয় সরকারের স্থায়ী কর্মীদের বছরে ন্যূনতম ২০ দিন বেতন-সহ ছুটি (earned leave) নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন।
সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, ‘নগদের বিনিময়ে ছুটি বিক্রির বদলে স্থায়ী কর্মীদের ন্যূনতম ২০ দিন বেতন-সহ ছুটি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, কোভিড অতিমারীর জেরে রুগ্ন অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির স্বার্থে গত অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতনের একাংশ অগ্রিম এবং এলটিসি (LTC) বাবদ ৭৩,০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
অর্থমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও সরকার অধীনস্থ সংস্থার কর্মীদের এলটিসি ভাতা ও অগ্রিম বেতন হিসেবে দেওয়া হবে মোট ১১,৫৭৫ কোটি টাকা। তবে ওই অর্থ তাঁদের আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্য কেনায় খরচ করতে হবে, এই শর্তেই টাকা দেওয়া হবে বলে জানান সীতারামন।
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, বার্ষিক ভ্রমণ ভাতা হিসেবে কর্মীদের আয়করহীন ক্যাশ ভাউচার দেওয়া হবে। এই অর্থ এমন সব পণ্য কিনতে খরচ করতে হবে, যার উপরে ১২% বা তার বেশি হারে জিএসটি যুক্ত হয়। নির্দেশ অনুসারে এলটিসি-র বদলে কর্মীদের নগদ দেওয়ার ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ও ব্যাঙ্কগুলি।
এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক ও কর্মীদের এককালীন উৎসব ভাতা হিসেবে ১০,০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণাও করেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর দাবি, এই দুই পদক্ষেপের ফলে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
সীতারামন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা চার বছর অন্তর এলটিসি পান। এর মধ্যে একটি ভারতের যে কোনও স্থান এবং অন্যটি নিজের শহরে, অথবা নিজের শহরে দুটি সফরের জন্য দেওয়া হয়। পদ ও বেতনক্রম অনুযায়ী বিমান বা রেলভাড়া দেওয়া হয় এবং তা ছাড়া ১০ দিনের ভ্রমণের ছুটিও নগদের বিনিময়ে ভাঙানো যায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মী যাঁদের এলটিসি ভাতা প্রাপ্য, তাঁদের ভাতার উপরে ধার্য করে ছাড় দেওয়া হবে।