ভারত বায়োটেক-এর তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেওয়া নিয়ে সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব ও কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ও জয়রাম রমেশ সন্দেহ প্রকাশ করায় পালটা তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।
বিরোধী নেতাদের দাবি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায় সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ওই ভ্যাক্সিনকে সরকারি অনুমোদন দেওয়া নিয়ম বহির্ভূত সিদ্ধান্ত। রবিবার তার জবাবে হর্ষ বর্ধন টুইট করেন, ‘এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনীতিকরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। শশী থারুর, অখিলেশ যাদব ও জয়রাম রমেশ, কোভিড ভ্যাক্সিন অনুমোদনে বিজ্ঞানভিত্তিক সুপরিকল্পিত নীতিকে দোষারোপ করবেন না।’
ভারতে তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিন নেবেন না বলে অখিলেশ যাদব এই সমস্ত টিকাকে ‘বিজেপি-র ভ্যাক্সিন’ বলে টিপ্পনি কাটেন।
সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক-এর তৈরি ভ্যাক্সিনকে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে জন্য ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) অনুমোদন দেওয়ার আগে রবিবার জয়রাম রমেশ টুইট করে দাবি করেন। রমেশের দাবি, প্রথম সারির সংস্থা হলেও ভারত বায়োটেক-এর তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত বিধি পরিবর্তন করা হয়েছে।
পাশাপাশি, আর এক কংগ্রেস নেতা শশী থারুরও টুইট করে জানান, ‘কোভ্যাক্সিন-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এখনও শেষ হয়নি। এই অনুমোদন অপরিণত এবং এর জেরে বিপদ ঘনাতে পারে। ডক্টর হর্ষ বর্ধন এই বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে পারেন। ট্রায়াল সম্পূর্ণ না হলে এই টিকা ব্যবহার করতে দেওয়া অনুচিত। ভারত বরং অ্যাস্ট্রাজেনেকা-র তৈরি টিকা দিয়ে শুরু করতে পারে।’
কোভিড ভ্যাক্সিন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ভ্যাক্সিন এবং আইসিএমআর ও এনআইভি-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারত বায়োটেক সংস্থার তৈরি কোভিড টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই।