ভারতে করোনা চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-এর সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিন প্রয়োগের চিকিৎসারীতি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পর্যবেক্ষণের পরে এই চিকিৎসা পদ্ধতির সুনির্দিষ্ট শর্তাবলী প্রকাশ করা হতে পারে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, করোনা চিকিৎসা পদ্ধতিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বহাল থাকলেও অ্যাজিথ্রোমাইসিন বাদ যেতে পারে। পরিবর্তে অন্য কোনও ওষুধের মিশ্রণ ব্যবহারের নির্দেশ দিতে পারে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
তিনি জানিয়েছেন, ‘সারা বিশ্ব থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-এর সপক্ষে ও বিপক্ষে মতামত খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের সাম্প্রতিক বৈঠকে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভার ও ফ্যাভিপিরাভার-এর মতো ওষুধ সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সম্ভবত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না, তবে তার সঙ্গে অন্য কোনও ওষুধ প্রয়োগ করা হতে পারে। এই বিষয়ে বিবেচনা করছে মন্ত্রক এবং কিছু দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হবে।’
গত ৩১ মার্চের নির্দেশিকায় কোভিড চিকিৎসায় সংকটজনক সংক্রমণে আইসিইউ বিভাগে ভরতি রোগীদের ক্ষেত্রে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-এর সঙ্গে অ্যাজিথ্রোমাইসিন ব্যবহারের কথা জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে ১২ বছরের কম বয়েসি শিশুদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ প্রয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
করোনা চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে যে, উপসর্গ দেখা না দিলে এই ওষুধে কাজ হয় না। আবার আইসিএমআর-এর মতে, সংক্রমণ রুখতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনিন খুবই উপযোগী।
চিকিৎসকদের মধ্যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন-এর উপকারিতা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে তাঁদের দাবি, এই ওষুধ করোনা চিকিৎসায় কতটা সাহায্য করে, তা খতিয়ে দেখতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন।