বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Rijiju praises CJI Chandrachud: 'মন জয় করে নিল', CJI চন্দ্রচূড়ের নির্দেশের প্রশংসা আইনমন্ত্রী রিজিজুর গলায়

Rijiju praises CJI Chandrachud: 'মন জয় করে নিল', CJI চন্দ্রচূড়ের নির্দেশের প্রশংসা আইনমন্ত্রী রিজিজুর গলায়

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (PTI)

কলেজিয়াম ব্যবস্থা ও বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সংঘাত লেগেই রয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশংসা শোনা গেল বিজেপি নেতার মুখে।

কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সংঘাত লেগেই রয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর। এরই মাঝে এবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের দেওয়া এক নির্দেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বিজেপি নেতা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তরাখণ্ড সিভিল জজের নিয়োগ পরীক্ষায় এক প্রার্থীকে 'স্ক্রাইব' ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সেই প্রার্থীর 'রাইটার'স ক্র্যাম্প' হয়। তাই তিনি অন্য কাউকে দিয়ে লেখানোর আবেদবন জানিয়েছিলেন। প্রার্থীর অসুস্থার কথা মাথায় রেখে তাঁকে অন্য কারও সাহায্য নেওয়ার অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি। আর তাঁর এই নির্দেশই মন জয় করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর।

একটি টুইট বার্তায় রিজিজু লেখেন, 'মাননীয় প্রধান বিচারপতি ডঃ ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এই নির্দেশ মন জয় করে নিল। উত্তরাখণ্ডে বিচার বিভাগীয় পরিষেবা পরীক্ষার জন্য একজন লেখক চেয়েছিলেন। সেই বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রার্থীকে স্বস্তি দিলেন তিনি।' সঙ্গে একটি টুইটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন রিজিজু। সেই স্ক্রিনশটে দেখা যায়, নমিত সাক্সেনা নামক একজন আইনজীবীর টুইট। তাতে নমিত লিখেছেন, 'আমরা গতরাতে সাড়ে ১১টার সময় রিট পিটিশন দাখিল করেছিলাম। আজ সকালে ১০টা ১৫ মিনিটে আমরা ডাইরি নম্বর পাই। এরপর সাড়ে ১০টার সময়ই প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলাটির উল্লেখ করি আমরা। মামলার আর্জি গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি এবং সেই একই দিনে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়ে প্রার্থীকে লেখক ব্যবহার করার অনুমতি দেন।'

জানা গিয়েছে, যে প্রার্থীর এই সমস্যা ছিল এবং তিনি লেখকের আবেদন করেছিলেন, তাঁর নাম ধনঞ্জয় কুমার। উত্তরাখণ্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কাছে তিনি লেখকের আবেদন করেছিলেন। তবে পরীক্ষার কয়েকদিন আগেই তা খারিজ হয়ে যায়। এইমস-এর থেকে একটি মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও জমা দিয়েছিলেন ধনঞ্জয়। তবে সার্ভিস কমিশন তাও তাঁর দাবি মেনে নেয়নি। এই আবহে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ধনঞ্জয়। সেই প্রার্থীর মেডিক্যাল সার্টিফিকেটটি দেখেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং পিএস নরসিংহ। উত্তরাখণ্ড পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং উত্তরাখণ্ড সরকারকে একটি নোটিশ ইস্যু করে সুপ্রিম কোর্ট। ১২ মে-এর মধ্যে সেই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে এরই মাঝে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ জারি করে ধনঞ্জয়কে লেখক ব্যবহার করার অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত।

 

 

বন্ধ করুন