মধ্যপ্রদেশে এক স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়ে ঠিক ভাবে 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' বাক্যটি লিখতে পারলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাবিত্রী ঠাকুর। কেন্দ্রের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ মধ্যপ্রদেশের ধর জেলার ব্রহ্মকুণ্ডির একটি বিদ্যালয়ে 'স্কুল চলো অভিযান' কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। একটি সাদা বোর্ডে 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' স্লোগান লিখতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে বিরোধীরা তোপ দাগতে ছাড়ছে না। (আরও পড়ুন: সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় ৬৫% জাতিগত সংরক্ষণের নীতি বাতিল এই রাজ্যে, বড় রায় HC-র)
আরও পড়ুন: সবুরে মেওয়া ফলে, ডিএ-বেতন নিয়ে বড় ঘোষণা করতে পারেন CM, জানালেন সরকারি কর্মীরাই
আরও পড়ুন: সরকারি পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ, ২৫০০০ কোটির IPO আনার আগে সতর্কবার্তা হুন্ডাই-এর
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দেবনাগরী ভাষায় 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' বাক্যটি লিখতে গিয়ে 'বেটি পড়াও বাঁচাও' লেখেব কন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেই সময় মন্ত্রীর এহেন কাণ্ড দেখে অস্বস্তিতে পড়ে যান অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাকি আধিকারিকরা। এই আবহে মন্ত্রী সাবিত্রী ঠাকুরের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র কেকে মিশ্র সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'গণতন্ত্রের জন্য দুর্ভাগ্জনকয। একজন দায়িত্বপূর্ণ মন্ত্রী নিজের মাতৃভাষায় লিখতে পারছেন না। এঁরা কীভাবে আগামিতে দায়িত্ব পালন করবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।' (আরও পড়ুন: কর্মীদের ৮ লাখ পর্যন্ত ইনসেন্টিভ দেবে ভারতের এই IT সংস্থা, তবে আছে শর্ত)
আরও পড়ুন: নিজ্জরকাণ্ডে নীরবতা পালন কানাডা সংসদে, জবাবে ৮৫'র খলিস্তানি হামলা মনে করাল ভারত
আরও পড়ুন: পরীক্ষার আগে… NEET প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি, নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী হলফনামায়, সাবিত্রী ঠাকুর জানিয়েছিলেন যে, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা দ্বাদশ উত্তীর্ণ। এই আবহে কংগ্রেস এবং বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, কী ভাবে একজন দ্বাদশ পাসকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে বসানো হল? এদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে নেটিজেনরাও মন্ত্রীর এই ভিডিয়ো দেখে নানান প্রশ্ন তুলেছে। এদিকে এই ঘটনায় কংগ্রেসকে পালটা 'আদিবাসী বিরোধী' আখ্যা দিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। এই নিয়ে বিজেপির ধর জেলা সভাপতি মনোজ সোমানি বলেন, 'সাবিত্রীজির মন একেবারে খাঁটি। কিন্তু কংগ্রেসিরা তাঁর অনুভূতি দেখতে পারছে না। একজন আদিবাসী নারীর অপমান করছে তারা। এটা গোটা সম্প্রদায়ের অপমান। আদিবাসীরা তা ক্ষমা করবে না।'