সপ্তর্ষি দাস
রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যশস্যের যোগান সংক্রান্ত ইস্যুতে শুক্রবার কার্যত তুমুল হট্টগোল রাজ্যসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে।খাদ্য ও গণবন্টন দফতরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল এদিন আপ সরকারকে চোরেদের সরকার বলে কটাক্ষ করেন। এরপরই তীব্র শোরগোল পড়ে রাজ্যসভায়। বিরোধীরা চিৎকার করে বলতে থাকেন এটা অসাংবিধানিক। তৃণমূলের এমপি সুখেন্দুশেখর রায় সংসদীয় রুল বুকটি সামনে এনে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবমাননাকর কথা বলছেন।
আপ নেতা সঞ্জয় সিং মুখ্য়মন্ত্রী কেজরিওয়ালের ঘর ঘর রেশন যোজনার বিষয়টি সামনে আনেন। কিন্তু কেন এই প্রকল্পকে তুলে নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে ব্যাখা চান তিনি। তিনি বলেন, আমরা জানি ভারতের রেশন ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা দরকার। আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ আলাদা হতে পারে কিন্তু এটা আমরা বলতে পারি রেশন দোকানের মালিকের মাধ্যমে অনেক অনিয়ম হয়ে থাকে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ঘর ঘর রেশন যোজনার সূচনা করেছিলেন। কিন্তু পরে এটি বাতিল করা হয়। তারই ব্যাখ্যা চাইছি আমরা। কেন গরিবের রেশন নিয়ে এমন ছেলেখেলা করছেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, দেশ তো আইনের মাধ্যমে চলে। কিন্তু কোনও রাজ্য সরকার যদি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয় তবে সেটা বন্ধ করে দেওয়া দরকার।সেই কারণেই বাড়ি বাড়ি রেশন দেওয়ার স্কিমকে বাতিল করা হয়েছে। রেশন দোকান রাজ্য সরকারের অধীনেই চলে। সেক্ষেত্রে কেন সরকার এমন উদাসীন থাকে?আপ ঘর ঘর রেশনের মাধ্য়মে চুরি করতে চেয়েছিল। প্রথমে আবগারি পলিসির মাধ্যমে আর এখন গরিবের রেশনের মাধ্যমে চুরি করছে আপ। আপ চোরেদের সরকার।
এরপরই তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একটা সরকারকে চোর বলছেন। এটা কি অনুমোদন যোগ্য? উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় জানিয়ে দেন,সংসদের সদস্য যে ইস্যু তুলেছেন সেটা দেখা হবে।
প্রসঙ্গত দিল্লি হাইকোর্ট ঘর ঘর রেশন স্কিমকে বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ দিল্লি সরকার কেন্দ্রের পাঠানো শস্যকে বণ্টন করছিল না এই স্কিমে।