রবিবার মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলায় একটি অনুষ্ঠানে তাঁর মেয়ে ও তাঁর বন্ধুদের হেনস্থা করার অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রক্ষা খাডসে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দাবি করেন, অভিযুক্তরা একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং পুলিশ তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, শুক্রবার রাতে মুক্তিনগরের কোথালি গ্রামের সন্ত মুক্তাই যাত্রায় এই ঘটনা ঘটে।
'আমি গুজরাটে ছিলাম, তাই আমার মেয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আমাকে ফোন করেছিল। আমি তাকে একজন গার্ড এবং দুই থেকে তিনজন স্টাফ সদস্যকে সাথে নিতে বললাম। আমার মেয়ে এবং তার বন্ধুদের অনুসরণ করা হয়েছিল এবং ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের ছবি এবং ভিডিও তোলা হয়েছিল। আমার কর্মীরা আপত্তি জানালে ছেলেরা অভব্য আচরণ করে এবং ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল জড়ো হয়।
তিনি বলেন, তার মেয়ে তাকে বলেছে যে ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে একই গোষ্ঠী তার সাথে দুর্ব্যবহার করেছিল।
'এটা দুর্ভাগ্যজনক। যদি কোনও সাংসদ বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে সাধারণ মানুষকে কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তা কল্পনা করুন।
মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'যারা খাডসের মেয়েকে হেনস্থা করেছে, তারা একটি রাজনৈতিক দলের। স্থানীয় পুলিশ তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং একটি মামলা দায়ের করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রক্ষা খাডসের শ্বশুর, প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এনসিপি (এসপি) নেতা একনাথ খাডসে বলেছেন যে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি বলেন, 'এই যুবকদের বিরুদ্ধে এর আগেও পুলিশের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই ছেলেরা দুর্ধর্ষ অপরাধী।
তিনি দাবি করেছেন যে তাদের অভিযোগ নেওয়ার করার আগে তাকে দুই ঘন্টা অপেক্ষা করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, 'আমি ডিএসপি ও আইজির সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা যখন প্রথমে থানায় যাই, তখন আমাদের দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। পুলিশ আমাদের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে যেহেতু এটি মেয়েদের সাথে সম্পর্কিত। পুলিশকেও মারধর করে যুবকেরা। এনসিপি (এসপি) নেতা বলেন, এই লোকগুলোর রাজনৈতিক সুরক্ষা রয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।