ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল কংগ্রেসও। তাই বিজেপি অতীতে যে ভুলগুলি করেছিল, তার পুনরাবৃত্তি ঘটলে দলের জন্যে এর ফল ভালো হবে না। এমন ভাষাতেই সতর্কবাণী দিয়ে রাখলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রবীণ নেতা নীতিন গডকরি। গোয়ায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে গিয়ে গডকরি এসব কথা বলেন। অবশ্য এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এও দাবি করেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের থেকে বিজেপির পার্থক্য রয়েছে, আর তাই বারবার ভোটারদের আস্থা জয় করতে সক্ষম হয়েছে পদ্ম শিবির। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই ফল প্রকাশের প্রায় এক মাস যেতে না যেতেই শুক্রবার নীতিন গডকরি বলেন, 'কংগ্রেস যা করত, আমরা যদি তা করতে থাকি তবে তাদের বিদায় এবং আমাদের ক্ষমতায় আসার কোনও অর্থ নেই।' (আরও পড়ুন: অপেক্ষা দু'দিনের, ডিএ-বেতন নিয়ে ১৫ জুলাইতেই বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য সরকার)
পানাজিতে গোয়া বিজেপির এক্সিকিউটিভ মিটিংয়ে প্রায় ৪০ মিনিট দীর্ঘ ভাষণ দেন গডকরি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত এবং গোয়া বিজেপিপ্রধান সানন্দ তানাবড়েও। সেখানেই নিজের বক্তৃতায় ভারতের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আডবানির কথা টেনে আনেন গডকরি। তিনি বলেন, 'আডবাবিজি বলতেন, আমরা পার্থক্য গড়ে তোলার দল। আমাদের বুঝতে হবে যে আমরা অন্যান্য দলগুলির থেকে কতটা আলাদা।' নাগপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, কংগ্রেসের ভুলের জন্য মানুষ আমাদের দলকে নির্বাচিত করেছে। তবে আমরাও যদি একই ভুল করি, তাহলে লাভ নেই।
গডকরি বলেন, 'কর্মীদের জানা উচিত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার আনার একটি হাতিয়ার হল রাজনীতি। আমাদের (বিজেপি) দুর্নীতিমুক্ত দেশ তৈরি করতে হবে এবং তার জন্য আমাদের একটি পরিকল্পনা থাকা উচিত।' মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ টেনে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বলেন, 'রাজ্যে জাতপাতের ভিত্তিতে রাজনীতি করার প্রবণতা রয়েছে। তবে আমি এই প্রবণতা অসুরণ করার বিপক্ষে। আমি মানুষকে বলেছি, জাতপাতের রাজনীতি করব না। যে জাতপাত নিয়ে কথা বলবে, তাকে কষিয়ে লাথি মারা উচিত। যে কোনও ব্যক্তি তার মূল্যবোধ দ্বারা পরিচিত, তার জাত দ্বারা নয়।' উল্লেখ্য, গতকালই বিজেপি-শিবসেনা-এনসিপি জোট মহাাষ্ট্রের এমএলসি ভোটে বড় জয় পেয়েছে। কংগ্রেসের বহু বিধায়ক ক্রসভোটিং করে সাহায্য করেছে জোট সরকারের প্রার্থীদের। সেদিনই পড়শি রাজ্য গোয়ায় বেশ কড়া কড়া কথা বলতে শোনা গেল নাগপুরের বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতাকে।