বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ভারতের নেতৃত্বে রাষ্ট্রসংঘে স্থির হবে তালিবানের ভাগ্য, বৈঠকে 'নিষেধাজ্ঞা কমিটি'

ভারতের নেতৃত্বে রাষ্ট্রসংঘে স্থির হবে তালিবানের ভাগ্য, বৈঠকে 'নিষেধাজ্ঞা কমিটি'

কাবুলের রাস্তায় তালিবান জঙ্গি (ছবি: রয়টার্স) (via REUTERS)

তালিবন নেতাদের উপর কি নিষেধাজ্ঞ জারি থাকবে? এই প্রশ্নের জবাব নির্ধারণ করতে বিশেষ বৈঠকে বসবে রাষ্ট্রসংঘের 'নিষেধজ্ঞা কমিটি'।

তালিবন নেতাদের উপর কি নিষেধাজ্ঞ জারি থাকবে? এই প্রশ্নের নির্ধারণ করতে বিশেষ বৈঠকে বসবে রাষ্ট্রসংঘের 'নিষেধজ্ঞা কমিটি'। এই কমিটি ঠিক করবে ভবিষ্যতে তালিবান নেতারা বিদেশে অবাধ ভ্রমণ করতে পারবেন কি না। এই কমিটির প্রধান আবার ভারত। উল্লেখ্য, বর্তমানে তালিবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা ঘানি বরাদরের উপরও ভঅরমণের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রাষ্ট্রসংঘের।

৯/১১-এর ভয়াবহ হামলার একমাস পরই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ নম্বর রেজোলিউশন গ্রহণ করা হয় যার মাধ্যমে তালিবান নেতাদের উপর আরোপ করা হয় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে। ২০ বথরের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আফগানিস্তান ছেড়েছে আমেরিকা। ক্ষমতার দখল নিয়েছে তালিবান। এই পরিস্থিতিতে তালিবান বিশ্ব দরবারে নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক করতে চাইছে। এর গে ২০১৯ সাল থেকে কাতারের দোহায় আমেরিকার সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে কতকটা স্বীকৃতি আদায়েরও চেষ্টা করেছে তালিবান।

এদিকে কাবুলের পতনের আগে থেকেই আফগান সরকার ভারতের কাছে আবেদন করেছিল যাতে তালিবান নেতাদের উফর নিষেধাজ্ঞার কড়াকড়ি বাড়ানো হয়। তবে দোহায় আলোচনার জন্য কিছুটা বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিস। সেই সময় তালিবান নেতারা বিভিন্ন মধ্য এশিয়ার দেশ ও রাশিয়ায় গিয়েছে। চিনেও গিয়েছে তারা। শের মোহাম্মদ আব্বাস স্ট্যানিকজাই, শাহাবুদ্দিন দেলাওয়ার, তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ভাই মোল্লা আবদুল মানান ওমারি এবং হাক্কানি নেটওয়ার্ক নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানির ভাই আনাস হাক্কানিরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে গিয়েছে। এদের মধ্যে স্ট্যানিকজাই ও হাক্কানি অনানুষ্ঠআনিক ভাবে ভারতের সঙ্গে আলোচনাও চালিয়েছে। তালিবান ইস্যুতে ভারত নিজে ধীরে চলো নীতিতেই হাঁটছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই বিষয়ে বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি থাকাকালীন আফগানিস্তান ইস্যু নিয়ে সরব হতেও দেখা গিয়েছে ভারতকে।

এদিকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের একমাসের সভাপতিত্ব শেষ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পাশ করেছে নিরাপত্তা পরিষদ। যার মধ্যে অন্যতম আলোচ্য বিষয় হল আফগানিস্তান ইস্যু। প্রথম থেকেই ভারতের বক্তব্য ছিল, আফগানিস্তানের মাটিকে কোনও অবস্থাতেই সন্ত্রাসের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। সেখানে কোনও জঙ্গিকে ঠাঁই দেওয়া যাবে না। নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব করাকালীন এই দাবির পক্ষেই প্রস্তাব পাশ করাতে সমর্থ হয়েছে ভারত।

বন্ধ করুন