শুভব্রত মুখার্জি: একটা সময় ছিল যখন বাংলা ফুটবলের তিন প্রধানকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব। স্থানীয় টুর্নামেন্ট থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্ট সবেতেই মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিংকে হারানো ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব দীর্ঘদিন বাদে এবার ফিরতে চলেছে আই লিগে। প্রায় আট বছর পরে আই লিগে ফিরছে তাঁরা। আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলবে তাঁরা। ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন তাঁরা খেলতে না পারলেও এবার ফিরে এসেছে ইউনাইটেড।
প্রসঙ্গত গত বছর কলকাতা লিগে ভালো পারফরম্যান্স করেছিল ইউনাইটেড স্পোর্টস।সেবার লিগে তাঁরা চার নম্বরে শেষ করেছিল। ইতিমধ্যেই মহমেডান স্পোর্টিং খেলে আই লিগে। লিগের ক্রমতালিকায় দুই এবং তিন নম্বরে শেষ করে জর্জ টেলিগ্রাফ এবং রেলওয়ে এফসি। ফলে নিয়ম অনুযায়ী আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলার কথা জর্জের। কিন্তু জর্জ আগেই জানিয়ে ছিল তাঁরা আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলবে না। অফিস দল হওয়ায় খেলতে পারবে না রেলওয়ে এফসি।ফলে হঠাৎ করেই কপাল খুলে গেল ইউনাইটেডের। আট বছর পর আই লিগে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে তাঁদের। উল্লেখ্য ২০১৩-১৪ সালে আই লিগের মূলপর্বে শেষ বার খেলেছিল ইউনাইটেড। এরপর ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের শর্তপূরণ করতে না পারার ফলে কলকাতার এই ফুটবল ক্লাবকে আই লিগ থেকে সরানো হয়।
দ্বিতীয় ডিভিশনে অনবদ্য পারফরম্যান্স করতে পারলেই খুলে যাবে আই লিগের মূলপর্বের দরজা। উল্লেখ্য মার্চ মাসেই শুরু হবে আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশন। টানা দুমাস চলবে খেলা। শেষ হবে মে মাসে। ইউনাইটেডের হাতে আই লিগের জন্য দল গঠনের সময় খুব কম রয়েছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রান্সফার উইন্ডো খোলা রয়েছে। আর এই অল্প সময়ের মধ্যেই গড়ে ফেলতে হবে আই লিগের দল।ক্লাবের সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা তাঁদের আর্থিক সংকট তো। তবে সমস্ত প্রতিকূলতা দূরে সরিয়ে রেখে দল তৈরির চ্যালেঞ্জ সামলাতে যে তাঁরা প্রস্তুত তা জানিয়ে দিয়েছেন।
বাঙালি ফুটবলারদেরকে সামনে তুলে আনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে ইউনাইটেডের। তার প্রমাণ ও পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক সময়ে। জাতীয় গেমসে সোনা জিতেছিল বাংলা। সেই দলেই ছিলেন ইউনাইটেডের ছয় ফুটবলার ছিলেন। সন্তোষ ট্রফির বাংলা দলেও রয়েছে তাঁদের চার ফুটবলার। ইউনাইটেডের পাশাপাশি কলকাতা থেকে ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দলও এবার আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলবে।