আজ. সোমবার থেকে আনলক ১-এর প্রথম পর্যায় শুরু হচ্ছে। 'কনটেনমেন্ট জোন'-এর বাইরে খুলে যাচ্ছে রেস্তোরাঁ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে অবশ্য বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। পালন করতে হবে সামাজিক দূরত্বের বিধি।
রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম পালন করতে হবে, তা দেখে নিন একনজরে -
১) রেস্তোরাঁয় ঢোকার মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে।
২) রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার পরিবর্তে অন্যত্র গিয়ে খাওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করতে হবে।
৩) প্রত্যেক কর্মী এবং ক্রেতাকে বাধ্যতামূলকভাবে ফেস কভার বা মাস্ক পরে রেস্তোরাঁয় ঢুকতে হবে। তবে মাস্ক পরে কীভাবে খাবেন, তা স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি রেস্তোরাঁর কর্মীদের গ্লাভস পরতে হবে এবং অন্যান্য সুরক্ষাবিধি অবলম্বন করতে হবে।
৪) এমনভাবে বসার জায়গা বন্দোবস্ত করতে হবে, যাতে সামাজিক দূরত্বের বিধি বজায় থাকে। ৫০ শতাংশের বেশি আসনে বসানো যাবে না।
৫) কাপড় ন্যাপকিনের পরিবর্তে কাগজের ন্যাপকিন ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করতে হবে।
৬) রেস্তোরাঁর বাইরে বা ভিতরে লাইনে দাঁড়ানোর সময়ে কমপক্ষে ছ'ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৭) যে কর্মীরা বাড়িতে খাবারের ডেলিভারি দেন, ডেলিভারির আগে তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে। তাঁরা ক্রেতার দরজার সামনে খাবার প্যাকেট রেখে আসবেন। ক্রেতার হাতে সরাসরি খাবারের প্যাকেট তুলে দিতে পারবেন না।
৮) লিফটে ব্যক্তি সংখ্যা বেঁধে দিতে হবে। এসক্ল্যাসেটরের প্রতিটি সিঁড়িতে দাঁড়ানো যাবে না। একটি সিঁড়ি ছেড়ে দাঁড়াতে হবে।
৯) রেস্তোরাঁর ভিতরে এবং বাইরে বড় জমায়েত এড়িয়ে যেতে হবে।
১০) শৌচাগার ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। লিফটের বোতাম, রেলিংয়ের মতো যেগুলিতে বারবার হাত দেওয়া হয়, সেগুলি বারেরারে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
১১) ক্রেতা টেবিল খালি করার পর প্রতিবার স্যানিটাইজড করতে হবে। সংস্পর্শহীন অর্ডার এবং ই-পেমেন্টের উপর জোর দিতে হবে।
১২) বাচ্চাদের খেলার কোনও জায়গা থাকলে সেটা বন্ধ থাকবে। গেমিং আর্কেড বন্ধ থাকবে।