বিতর্কের মুখেও পিছু হটলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জানিয়ে দিলেন, শুধুমাত্র দিল্লির করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য হাসপাতাল সংরক্ষিত থাকবে। ভিনরাজ্যের বাসিন্দারা সেখানে ভরতি হতে পারবেন না।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল বলেন, কয়েকদিনের জন্য দিল্লির সরকারি হাসপাতালগুলি দেশের অন্যান্য প্রান্তের রোগীদের পরিষেবা দেবে না। এমনকী বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও দিল্লির মানুষের জন্য শয্যা সংরক্ষিত রাখতে হবে। তবে যে বেসরকারি হাসপাতালগুলি ক্যানসার-সহ বিভিন্ন বিশেষ সার্জারি করে এবং সারাদেশের মানুষ আসেন, সেগুলিতে সাধারণ পরিষেবা জারি থাকবে। একইসঙ্গে এইমস, সফদরজঙের মতো কেন্দ্রের অধীনস্থ হাসপাতালগুলি সেই নির্দেশিকার আওতায় পড়বে না বলে জানান কেজরি।
কেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় পর দিল্লির হাসপাতালগুলিতে ভিনরাজ্যের রোগী ভরতি হতে পারেন। কেজরির কথায়, ‘একটি পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছেন এবং দেখেছেন যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য জুনের শেষে আমাদের ১৫,০০০ শয্য়া লাগবে। এখন আমাদের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ১০,০০০ করে শয্যা রয়েছে।’ তাই ক্রমশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যে যাতে দিল্লির মানুষ চিকিৎসা পান, তা নিশ্চিত করতেই তাঁর মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান কেজরিওয়াল।
পাশাপাশি তিনি জানান, আগামী সোমবার থেকে দিল্লির সীমান্তও খুলে দেওয়া হবে। একইভাবে কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে সোমবার থেকে রেস্তোরাঁ, শপিং মল খোলা যাবে। খুলবে ধর্মীয়স্থানও। তবে হোটেল এবং ব্যাঙ্কোয়েট হল আপাতত বন্ধ থাকবে বলে জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।