আনলক ১-এর প্রথম পর্যায়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মীয় স্থান খুলেছে। তবে কয়েকটি বিখ্যাত মন্দির, মসজিদের দরজা এখনও খোলা হয়নি।
‘হিন্দুস্তান’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ, জম্মু ও কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবী, মথুরার বানকে বিহারি, পঞ্চকুলার মনসাদেবী মন্দির বন্ধ রাখা হয়েছে। বানকে বিহারি মন্দির আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলেও কাশী বিশ্বনাথ এবং মনসাদেবী মন্দির মঙ্গলবার থেকেই খুলে যাচ্ছে। অন্যদিকে, লখনউয়ের অন্যতম বিখ্যাত আসিফি মসজিদ খোলা হয়নি। করোনাভাইরাসে সংক্রমণ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্মীয় স্থানগুলির কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার পর ভক্তদের ভালোরকম ভিড় নজরে এসেছে। মোটের উপর সর্বত্রই অবশ্য সরকারের নির্দেশ মতো সুরক্ষাবিধি মেনে চলা হচ্ছে। মাস্ক পরলে তবেই প্রবেশের অনুমতি মিলেছে। থার্মাল স্ক্রিনিংও করা হচ্ছে।
যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনে দিল্লির জামা মসজিদ, ফতেহপুরী মসজিদ, পুরনো দিল্লির গুরুদ্বারা সিসগঞ্জ সাহিব, উত্তরপ্রদেশে উত্তরপ্রদেশের গোরখনাথ মন্দির, অসমের শিবমন্দির, ওড়িশার লিঙ্গরাজ মন্দির, পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরের মতো বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান খুলে গিয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি বালাজি মন্দিরের দরজাও খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রথম তিনদিন শুধুমাত্র স্থানীয়রা দর্শন করতে পারবেন। ১১ জুন থেকে সবার জন্য মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য গত ১ জুন থেকেই ধর্মীয় স্থান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।সেদিন না খুললেও সোমবার সকালে খোলা হয়েছে কপিলমুনি মন্দিরের দরজা। সুরক্ষাবিধি মেনে ব্যান্ডেল চার্চ, নাখোদা মসজিদ এবং টিপু সুলতান খুলেছে। তবে কালীঘাট এবং দক্ষিণনেশ্বর মন্দির এখনও বন্ধ থাকছে।